মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০২:১৮ পূর্বাহ্ন
অস্ত্র ও মাদকের মামলায় ঠিকাদার জি কে শামীমকে দেওয়া জামিনের আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন হাইকোর্ট। এক মাস আগে এ দুই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন তিনি।
রোববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ অস্ত্র মামলার জামিন আদেশ প্রত্যাহার (রিকল) করে বলেছেন, ‘নাম বিভ্রাটে ও তথ্য গোপনে’ জি কে শামীমের জামিন হয়েছিলো।
অস্ত্র মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) মো. ফজলুর রহমান খান আদালতে বলেন, অস্ত্র মামলায় জামিন আবেদনকারীর নাম লেখা আছে এস এম গোলাম কিবরিয়া। কিন্তু আদালতের ওই দিনের (৬ ফেব্রুয়ারি) কার্যতালিকায় নাম ছিল এস এম গোলাম।
জামিন আদেশ প্রত্যাহার হওয়ার পর ফজলুল রহমান খান সাংবাদিকদের বলেন, নাম নিয়ে বিভ্রাটের কারণে রাষ্ট্রপক্ষ হয়তো ওই দিন বুঝতে পারেনি।
অন্যদিকে জি কে শামীমের আইনজীবী মেহেদী আদালতকে বলেন, জামিন আদেশের দিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এফ আর খান আদালতেই ছিলেন না।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। কোর্ট রিকল না করলে আমরা আপিল বিভাগে যেতাম।’
এর আগে শনিবার (৭ মার্চ) তার আইনজীবী শওকত ওসমান জানিয়েছিলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ ও ৬ তারিখে তিনি হাইকোর্টের দুই বেঞ্চ থেকে অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন। একটিতে এক বছর ও অপরটিতে ছয় মাস। মানিলন্ডারিং ও দুদকের আরো দু’টি মামলা আছে সেগুলোর জন্য অলরেডি হলফনামা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযোগে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ওই ভবন থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা, এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
অভিযানের সময় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, অর্থ পাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মোট চারটি মামলা হয়।
অস্ত্র মামলায় দেয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, জি কে শামীম একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক এবং জুয়ার ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তার সহযোগীরা উচ্চ বেতনভোগী দুষ্কর্মের সহযোগী। তারা অস্ত্রের লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে প্রকাশ্যে এসব অস্ত্রশস্ত্র বহন ও প্রদর্শন করেছেন। এর মাধ্যমে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসাসহ স্থানীয় বাস টার্মিনাল ও গরুর হাটবাজারে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। আসামি শামীম অস্ত্রের শর্ত ভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাদক ব্যবসা ও মানি লন্ডারিং করে আসছিলেন।
গত বছরের ২১ অক্টোবর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিকে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় শামীমের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৯ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ থাকার অভিযোগ আনা হয়।
Design and Developed By Sarjan Faraby