মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন
ক্ষুদ্র ব্যবসায় হঠাৎ করোনাভাইরাসে ধস নেমেছে। কিন্তু তাতে কিছু যায়-আসে না বেসরকারি সংস্থার ঋণ প্রদানকারীদের।
সপ্তাহান্তে কিস্তি তাদের দিতেই হবে। ফলে বিপাকে পড়েছেন কুলাউড়া উপজেলার নিম্নআয়ের মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা বিভিন্ন এনজিও সংস্থার নিকট থেকে কিস্তি নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। গত এক সপ্তাহ পূর্ব পর্যন্ত তারা কিস্তি পরিশোধ করে ব্যবসা চালাচ্ছিলেন।
রোববার রাত ৮টা থেকে ফার্মেসি আর খাবার হোটেল বাদে সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
করোনাভাইরাস আতঙ্কে ও ব্যবসায় চলা সবচেয়ে মন্দা সময়ে কুলাউড়া উপজেলায় এনজিও সংস্থায় কর্মরতরা ওই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে গিয়ে কিস্তির জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন। এমতাবস্থায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা অসহায়ত্ব প্রকাশ করে ছাড় পাচ্ছেন না।
কুলাউড়ার স্টেশন চৌমুহনীর পানের দোকানদার মো. শরীফ, ফলের দোকানদার চান্দু মিয়া, কাপড়ের দোকানদার রবিউল হোসেন, পানের দোকানদার সুফিয়ান মিয়া, সিরামিক ব্যবসায়ী ফুল মিয়া, ইসমাইল, মোবাইলের সরঞ্জাম ব্যবসায়ী অনিক, রাজু, দৌলতসহ একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, মানুষের এখন কাজ নেই। মানুষকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই ক্রেতা না থাকায় পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা যাচ্ছে না। আমরা টাকা দিব কোথা থেকে? এ সব কোনো অজুহাত মানতে রাজি হচ্ছেন না এনজিও মাঠকর্মীরা।
এনজিওর কর্মীরা কিস্তি আদায় করতে এসে দোকানের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকেন। আপাতত বেসরকারি সংস্থার ক্ষুদ্র ঋণের বিপরীতে কিস্তি আদায় বন্ধের জন্য সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।
একজন মাঠকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের এনজিও অফিস থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। আমাদের কাজ টাকা আদায় করা, আমরা সেটা করছি। নির্দেশনা আসলে বন্ধ করে দেব।
তবে এ বিষয়ে এনজিও সংস্থা ব্র্যাকের কুলাউড়া শাখার ঋণ কর্মকর্তা সুজিত পাল যুগান্তরকে বলেন, আমাদের কাছে কোনো নির্দেশনা আসেনি। ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতার প্রতি আমাদের সহযোগিতা থাকবে।
Design and Developed By Sarjan Faraby