মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশের বেনাপোল স্থলবন্দরে আটকে পড়েছেন শতাধিক কাশ্মীরি শিক্ষার্থী। তারা মঙ্গলবার সকালে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি বাংলা। কেননা ভারত সরকার তাদের দেশে ঢুকতে দিচ্ছে না।
বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন এই শিক্ষার্থী দলের পাসপোর্ট ও ভিসা যাচাই করে তাদের ছেড়ে দেয়ার পর স্থল বন্দরের ভারত অংশে অর্থাৎ পেট্রাপোলে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়।
বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, এখানে অর্ধেক নারী ও অর্ধেক পুরুষ শিক্ষার্থী আছেন। তারা সবাই এখন বন্দরের বাইরে বারান্দায় অপেক্ষা করছেন। তারা সবাই বাংলাদেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে পড়ালেখা করেন। তারা ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশালের নানা মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করেন।
বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে ১৬ মার্চ।
ভারতে বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের নাগরিকদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে গত ১৩ মার্চ রাতে। কিন্তু এই সময়ে ভারতের নাগরিকরা যাতায়াত করতে পেরেছে।
এ নিয়ে বিবিসি বাংলার প্রতিনিধি বেনাপোল স্থল বন্দরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মামুন কবির তরফদারের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘ভারতের নাগরিকরা বাংলাদেশে ঢুকেছে বেরও হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশি নাগরিক এবং বিশ্বের অন্য যেকোন দেশের নাগরিকদের ভারতে ঢোকা বন্ধ ১৩ মার্চ থেকে।’
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে সোমবার সন্ধ্যায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
মামুন কবির বলেন, লকডাউন ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথে ভারতীয় পাসপোর্টধারীদের বেনাপোলে ভিড় বেড়েছে। প্রচুর ভারতীয় সোমবারও ভারতে ঢুকেছে। কিন্তু বিপত্তি হয়েছে আজ (মঙ্গলবার) সকালে।
‘কাশ্মীরের এই ছাত্রের দলটি হয় জানতো না নতুবা দেরি করে ফেলেছে। এখন আমরা ভারতের ফরেন মিনিস্ট্রির সাথে যোগাযোগ করছি।’
সকালে যখন কাশ্মীরের শিক্ষার্থীদের ভারতের ইমিগ্রেশন ফিরিয়ে দেয় তখনই ভারত অংশের ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন মামুন।
তিনি বলছেন, ‘তারা তো বলছে ভারতের সিদ্ধান্ত পেট্রাপোল এখন কাউকে নিতে পারবে না। আর কেউ বের হলেও তাকেও নেবে না। একেবারে লকডাউন।’
এদিকে কাশ্মীরের শিক্ষার্থীরা বেনাপোলের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে বলেছেন, তারা কাল জানতে পেরেছে এবং তারা ভারতীয় দূতাবাসের সাথে কথা বলে এসেছে।
‘সবার কাছে ভারতীয় পাসপোর্ট, লিগাল ভিসা, আমরা এখন কী করবো জানিনা।’
Design and Developed By Sarjan Faraby