মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন
অসচ্ছল পরিবারের স্কুলপড়ুয়ে ছাত্রীকে খাতা-কলম কিনে দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে কুষ্টিয়া শহরের একটি বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত এবং সহযোগিতার অভিযোগে ওই বাড়ির বাশিন্দা ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ।
রোববার কুষ্টিয়া শহরতলীর বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে পূর্ব পরিচিত স্বাধীন (সম্পর্কে চাচা) ওই ছাত্রীকে খাতা-কলম কিনে দেয়ার কথা বলে শহরের পূর্ব থানাপাড়াস্থ একটি বাড়ি নিয়ে ধর্ষণ করে।
এদিকে সোমবার দুপুর ২টায় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রেজাউল করীম শুনানি শেষে আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ওই ছাত্রীর চাচা এবং সদর উপজেলার লাহিনীপাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে স্বাধীন (৪৫), সহযোগিতায় অভিযুক্ত কুষ্টিয়া শহরের পূর্ব থানাপাড়াস্থ কুতুব উদ্দিন আহম্মেদ সড়কের ডিম বিক্রেতা নরুল ইসলাম (৫৫) এবং নুরুল ইসলামের স্ত্রী বেদেনা খাতুন (৪৫)।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আইনে অভিযোগ এনে তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে পূর্ব পরিচিত চাচা স্বাধীন ওই ছাত্রীকে খাতা-কলম কিনে দেয়ার কথা বলে শহরের পূর্ব থানাপাড়াস্থ কুতুব উদ্দিন আহম্মেদ সড়কের ডিম বিক্রেতা নরুল ইসলামের বাড়িতে বিশেষ কাজ আছে বলে প্রবেশ করে। এ সময় ওই বাড়ির একটি রুমে প্রবেশ করার পর দরজার বাইরে থেকে আটকে দেয়া হয়।
এ সময় স্বাধীন ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এক ঘণ্টা পর রুমের দড়জা খুলে দিলে ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরে ঘটনার কথা পরিবারের কাছে জানায়। পরে পরিবারের লোকজনকে সাথে নিয়ে কুষ্টিয়া মডল থানায় এসে ওই ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে মামলা করেন।
এ ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ সহযোগিতার অভিযোগ এনে ওই বাড়ির বাশিন্দা নুরুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী বেদেনা খাতুনকেও অভিযুক্ত করা হয়।
ভুক্তভোগী ও ছাত্রীর মেডিকেল চেকআপ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, ওই ছাত্রীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রোববার সকালে শহরের একটি বাড়িতে স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। সোমবার সকালে মামলায় সহযোগীসহ স্বাধীন, নুরুল ইসলাম ও বেদেনা ইসলাম নামে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
Design and Developed By Sarjan Faraby