বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৬:১১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
বরিশাল আসছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম বরিশাল নিউজ এডিটরস্ কাউন্সিল ও অনলাইন প্রেসক্লাবের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত জিয়া প্রজন্মদলের ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন, মামুনুর রহমান জয় মামুন খান মঠবাড়িয়ায় ৮ হাজার জাল টাকাসহ আটক ১ বরিশালে ট্রাকচাপায় নারী নিহত, ট্রাকসহ চালক আটক বাবুগঞ্জে ৬ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা বিতর্কিতদের দ্বারা বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি গঠনে ত্যাগীরা বঞ্চিত; তৃণমূল কর্মীদের ক্ষোভ ভোলায় দেখা মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশের ভোলায় অটোরিকশা-ট্রলি সংঘর্ষে নিহত ১ আগৈলঝাড়ায় পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
গর্ভপাত সম্পর্কে অনেক সচেতন হতে হবে পুরুষের

গর্ভপাত সম্পর্কে অনেক সচেতন হতে হবে পুরুষের

গর্ভপাত যে কেবল নারীদের ব্যপার বা শুধুমাত্র এটা নিয়ে নারীরায় চিন্তা করবে, ব্যাপারটি মোটে ও তা নয়। একটি গর্ভপাত মানে একটি সন্তানের মৃত্যু। বিষয়টি নারীর জন্য যতটা গুরুত্বপূর্ণ, পুরুষের জন্যও ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কেননা তিনি সন্তানের বাবা। বর্তমান সময়ে অকাল গর্ভপাতের বিষয়টি বেড়ে গিয়েছে । জেনে নিন এমন কিছু সত্য যেগুলো গর্ভপাত সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত সকল বিবাহিত পুরুষের।

স্ত্রীর পাশে থাকুন: একজন পুরুষ কখনোই গর্ভপাতের কষ্ট অনুভব করতে পারবে না, যেভাবে নারীরা করে থাকেন। কারণ ভ্রূণটি নারীর শরীরেই প্রতিপালিত হয়। গর্ভপাত দুর্ঘটনায় হোক বা স্বেচ্ছায়, নারীর জন্য এটা অনেক বড় একটি ধাক্কা ও কষ্টের বিষয়। তাই স্বামী হিসাবে কর্তব্য স্ত্রীর পাশে থাকা।

স্বেচ্ছায় গর্ভপাতে হতে পারে বন্ধ্যাত্ব: অনেক দম্পতিই স্বেচ্ছায় গর্ভপাত করিয়ে থাকেন হয়তো ক্যারিয়ার বা ভবিষ্যতের কথা ভেবে। অনেক ক্ষেত্রে স্বামীরা গর্ভপাত করানোর পক্ষে থাকেন। মনে রাখবেন, গর্ভপাত মোটে ও ভালো কিছু নয়। স্বেচ্ছায় গর্ভপাত করানোর কারণে ভবিষ্যতে সন্তান ধারণে অসুবিধা হয়। এমনকি বন্ধ্যাও হয়ে যেতে পারেন অনেক নারী। তাই স্বেচ্ছায় গর্ভপাত হতে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন। আর একান্তই করাতে হলে অতি অবশ্যই খুব ভালো ডাক্তার ও হাসপাতালের সাহায্য নিন।

একবার গর্ভপাতের পর তাড়াহুড়ো নয়: অনেক দম্পতিই একটি গর্ভপাতের পর আরেকটি সন্তান নিতে তাড়াহুড়ো শুরু করেন। বিশেষ করে স্বামীরা। মনে রাখবেন, স্ত্রী আরেকবার গর্ভবতী হয়ে যাওয়া মানেই সকল সমস্যার সমাধান নয়। একটি গর্ভপাতে নারীর শরীরের যে ক্ষতি হয়, সেটা পূরণ হবার সময় দিতে হবে। এবং পরবর্তীতে কখন সন্তানের জন্য চেষ্টা করবেন, সেটি অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ঠিক করুন।

যতটা সম্ভব গর্ভপাতে এড়িয়ে চলুন: স্বামী হিসাবে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে যেনো গর্ভপাত করার পরিস্থিতিই তৈরি না হয়। ১টি দুর্ঘটনার চাইতে সতর্ক থাকা ভালো। স্ত্রী গর্ভবতী হলে তার দিকে বিশেষ যত্ন ও কেয়ার দিতে হবে। আর যারা এখনো সন্তান চান না, তাদের সঠিক জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত।

স্ত্রীকে সময় দিন: গর্ভপাত কেবল স্ত্রীর শারীরিক ক্ষতি নয়, একজন নারীর মানসিক ক্ষতিও। এসময় স্বামীর উচিত স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক বিশ্রামে রাখা। স্ত্রী কেবল সন্তান উৎপাদন করার মেশিন নন। তাছাড়া গর্ভপাতে সবচাইতে বেশী ক্ষতির সম্মুখীন হোন নারী। তাই তাঁকে তার মত সেরে উঠার সুযোগ দিতে হবে।

দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকুন: এই কাজটি অনেক পুরুষই করেন, সেটা হচ্ছে দোষারোপ করা। একটি অকাল গর্ভপাতের জন্য নারী দায়ী নন। দুর্ঘটনা জীবনে ঘটতেই পারে, সেটা ভুলে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। স্ত্রীর মনে কখনো কষ্ট দিবেন না কারণ আপনার ভবিষ্যৎ সন্তানের উপর প্রভাব পড়বে। আপনার স্ত্রীকে সব সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন এতে আপনার স্ত্রী ও সন্তান দুজনের জন্যই ভালো হবে

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019 ajkercrimetimes.com

Design and Developed By Sarjan Faraby