বৃহস্পতিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৫:১৯ অপরাহ্ন
চাঁদপুরে স্বামীকে নির্যাতন, ১০ লাখ টাকা দাবি করে বেধড়ক মারধর, বাড়ি করে দেয়ার দাবি, অন্য ছেলেকে বিয়ে করে তা গোপন রেখে পুনরায় আবার নতুন করে আড়াই লাখ টাকা কাবিন করায় স্ত্রীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার দুপুরে আদালত-৩ এর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান জামান এ আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জেলার শাহরাস্তি উপজেলার কালিয়াপাড়ার বানিয়াঁচো এলাকার মৃত খন্দকার আবু তাহেরের ছেলে খন্দকার মো. মনির হোসেন (জয়নাল আবেদীন) এবং কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার শাকপুর গ্রামের মো. ইমাম হোসেন ও শাহানারা বেগমের মেয়ে মিসেস মিনোয়ারা বেগমের ২০১৩ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মিনোয়ারা বেগম স্বামী মনির হোসেনকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছেন।
এর মধ্যে ২০১৭ সালে মিনোয়ারা বেগম পিত্রালয়ে গিয়ে গোপনে অন্য ছেলেকে বিয়ে করে সংসার করেন। কিছুদিন পরে আবার বিয়ের কথা গোপন করে মনিরের সংসারে আসে এবং আড়াই লাখ টাকা কাবিন করে। এসব ঘটনা চলমান অবস্থায় মিনোয়ারা বেগম তার স্বামীর কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন এবং তাকে বরুড়া উপজেলায় একটি বাড়ি করে দেয়ার জন্য চাপ দেন।
উভয়ের মধ্যে এ নিয়ে বিবাদ হয় এবং মিনোয়ারা বেগম তার স্বামীকে বেধড়ক মারধর আহত করে। এসব ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে কোন প্রতিকার না পেয়ে মনির হোসেন ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মিনোয়ারা বেগমকে বিবাদী করে চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. মো. মহসীন মিয়া বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করার জন্য শাহরাস্তি থানাকে নির্দেশ দেন।
এছাড়াও বিবাদী মিনোয়ারা বেগমের বিয়ে, তালাক, তথ্য গোপন করে আবার বিয়ে- ইত্যাদির কাগজপত্র পর্যালোচনা করা হয়। এসব পর্যালোচনা শেষে আজ সোমবার আসামি মিনোয়ারা বেগম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করলে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. মো. হান্নান কাজী।
Design and Developed By Sarjan Faraby