শুক্রবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ১২:০৭ অপরাহ্ন
তাকওয়া অর্জনই জান্নাতের পথ। তাকওয়া আরবি শব্দ। এর ভাবার্থ হলো- খোদাভীতি, আত্মরক্ষা ইত্যাদি। শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহর ভয়ভীতি নিয়ে তাঁর নির্দেশসমূহ পালন করা এবং নিষেধাজ্ঞাসমূহ থেকে বেঁচে থাকার নাম হলো ‘তাকওয়া’।
যে ব্যক্তির তাকওয়া যত বেশি আল্লাহর কাছে তার সম্মান ততই বেশি। আল্লাহ ঘোষণা করেন, ‘নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা সম্মানিত ওই ব্যক্তি যে তোমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা তাকওয়ার অধিকারী। ’ (সুরা হুজরাত-১৩) তাকওয়া এবং খোদাভীতি মানুষকে পরিশুদ্ধ করে, আলোকিত করে, সৎকাজে উৎসাহ জোগায় এবং পাপাচার বর্জন করার প্রেরণা সৃষ্টি করে। তাকওয়া অর্জনের ফলে একটি মানুষ অন্যায়-অনাচার, সুদ-ঘুষ বর্জন করতে পারে।
গড়ে উঠতে পারে একটি আদর্শ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা।
আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর যে স্বীয় তার প্রতিপালকের সম্মুখে উপস্থিতি হওয়ার ভয় রাখে এবং প্রবৃত্তি হতে নিজেকে বিরত রাখে। তার আবাসস্থল হলো জান্নাত। ’ সূরা-নাযিয়াত।
এই আয়াতে আল্লাহতায়ালাকে ভয় করার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে, অন্য আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন, হে আমার বান্দারা যারা সীমা লঙ্ঘন করেছ তোমরা আল্লাহতায়ালার রহমত থেকে নৈরাশ হইও না। নিশ্চয় সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়ার মালিক আল্লাহ। তিনিই ক্ষমাশীল ও অনুগ্রহকারী। সূরা- যুমার। আল্লাহতায়ালার আজাবের ভয় করা ও আল্লাহতায়ালার কাছে রহমতের আশা করা দুটি গুণ একসঙ্গে অর্জন করতে হবে।
Design and Developed By Sarjan Faraby