মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক ::: আর মাত্র সাত মাস পরেই মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা যাবে যাত্রীবাহী ট্রেন। নতুন ইঞ্জিন কোচে আগামী বছরের জুনে চালু হচ্ছে দুটি আন্তঃনগর ট্রেন। এমন লক্ষ্য নিয়েই পুরোদমে চলছে প্রকল্পের প্রথম পর্বের কাজ।
আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ট্রেন চলবে কমলাপুর থেকে মাওয়া পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে ক্রমান্বয়ে আরও চারটি ট্রেন চালু হবে এ রেলপথে। চুক্তি অনুযায়ী ১০০ কোচ নির্মাণ হচ্ছে চীনের তাংশানে।
সেখান থেকে প্রথম চালানটি এ বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে আসার কথা রয়েছে। এদিকে এ পথে ট্রেনে পদ্মা সেতু পার হতে যাত্রীপ্রতি ৬০ কিলোমিটারের অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হবে।
ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৯ কিলোমিটার রেলপথ। অর্থাৎ ভাড়া দিতে হবে ৯৯ কিলোমিটারের। প্রকল্প পরিচালক মো. আফজাল হোসেন ও রেলওয়ের অতিরিক্ত (অপারেশন) মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী এসব তথ্য জানিয়েছেন।
রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন জানান, পদ্মা সেতু দিয়ে এখন দিন-রাত যান চলাচল করছে। আগামী বছরের জুনে এ সেতু হয়ে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেন চালবে।
বাণিজ্যিকভাবে এ পথে ট্রেন চালাতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে। আশা করছি, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে চীন থেকে ১০০ কোচ আসতে শুরু করবে। এক বছরের মধ্যে সব কোচ রেলবহরে যুক্ত হবে।
২০২৪ সালে ভাঙ্গা হয়ে যশোর পর্যন্ত ট্রেন চলবে। এ লাইনে ট্রেনের গতি বাড়বে। কোচ ইঞ্জিনগুলো ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার গতি নিয়ে চলবে।
প্রকল্প পরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, কমলাপুর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত মোট ১০টি স্টেশন রয়েছে। শুরুতে আন্তঃনগর ট্রেন চালানো হবে।
কমলাপুর থেকে ট্রেন ছেড়ে মাওয়া, পদ্মা হয়ে ভাঙ্গা স্টেশন পর্যন্ত মোট তিনটি স্টেশনে বিরতি করতে পারে। তিনি বলেন, আমরা সম্প্রতি চীনে গিয়ে কারখানা পরিদর্শন করে এসেছি।
চুক্তি অনুযায়ী কোচ তৈরি করা হচ্ছে। কিছু কোচ তৈরি হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ট্রেন চালাতে জনবল ও যন্ত্রাদি বৃদ্ধি করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
এ প্রকল্পে শ্যামপুর থেকে মাওয়া পর্যন্ত রেলপথে প্রায় ১৭ কিলোমিটার উড়াল রেলপথে স্প্যান বসানো হয়েছে। পদ্মা সেতুতে লাইন বসানোর কাজ চলছে।
Design and Developed By Sarjan Faraby