মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০২:০১ পূর্বাহ্ন
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ওটরা ইউনিয়নের ভবানীপুরে গত ২ তারিখ বুধবার দুপুর আনুমানিক একটায় ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের উজিরপুর ভূমি অফিসের সরকারি সার্ভেয়ারের সামনে স্বাক্ষী মোঃ মোশারফ মল্লিক ‘কে মারধর করে বিবাদী শহীদ মল্লিক (৫০), পিতা. মালেক মল্লিক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন দুপুরে পার্শবতী জমি সংক্রান্ত মামলার তদন্তে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মোঃ জালাল হোসেন আসলে, স্থানীয় মোঃ শামসুল হক মল্লিক, পিতা. সত্তার মল্লিক স্বাক্ষী হিসাবে মোশারফ মল্লিক ‘কে ডাকতে আসলে, মোশারফ মল্লিক স্থানীয় মিলনের দোকানে সামনে আসতেই, স্থানীয় শহীদ মল্লিক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে, প্রতিউত্তর করলে দলবল সহকারে একপর্যায়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর শুরু করে শহীদ মল্লিক, পিতা. মালেক মল্লিক, সালাম মল্লিক, পিতা. সেকের মল্লিক, রাব্বি মল্লিক, পিতা. শহীদ মল্লিক। এতে মোশাররফ মল্লিক’কে গুরুতর আহত অবস্থায় উজিরপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর অবস্থার বেগতিক দেখে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।
এঘটনায় মোশারফ মল্লিক আদালতে বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
এঘটনায় উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মোঃ জালাল হোসেন দুঃখপ্রকাশ করে জানান, তদন্তে একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে স্থানীয় মিলনের দোকানে বসা অবস্থায় হঠাৎ এমনটা ঘটবে তা বুঝতে পারিনি। তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি শান্ত করতে দুই পক্ষকে থামাতে চেষ্টা করি।
এব্যপারে আহত মোশারফ মল্লিক ‘র পরিবার জানান, শহীদ মল্লিক (৫০) একজন দুষ্ট প্রকৃতির লোক, সবসময় পেশি শক্তি ও টকার জোর দেখিয়ে একের পর এক জোর জুলুম ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে থাকেন। ইতিপূর্বে তিনি সদলবলে জোর পূর্বক আমাদের বসত ঘরের টিন খুলে নেয়। তার এমন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের থেকে পরিত্রাণ চেয়ে এবং কঠোর শাস্তির দাবি জানান তার পরিবারবর্গ।
এঘটনায় প্রত্যক্ষদোর্ষি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, শহীদ মল্লিক (৫০), পিতা. মালেক মল্লিক কিছু সংখ্যক দুষ্ট প্রকৃতির লোকের সেলটার নিয়ে এলাকায় একের পর এক হামলা মামলা করে স্থানীয় অনেকের ক্ষতি সাধন করেছে। এমনকি তার নিজ পরিবার ও তার হাত থেকে রেহাই পায়নি। এছাড়াও তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর গায়ে হাত তোলা সহ একাধিক মারধরের ঘটনা আছে যা নিয়েও ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। স্থানীয় অনেকেই এঘটনায় তিব্র নিন্দা প্রকাশ করে তদন্ত সাপেক্ষ আইনানুগ বিচার দাবি করেন।
Design and Developed By Sarjan Faraby