বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম তানু ভুঁইয়াকে গুলি করে হত্যার ২২ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত স্থানীয় যুবলীগ নেতা ও পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ফদির শেখসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় ঘাতকদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত এক রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

শনিবার গভীর রাতে বাগেরহাট পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহয়তা নিয়ে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার বালিডাঙ্গা গ্রামে সন্ত্রাসী ফরিদ শেখের ফুফুর বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করে। শুক্রবার রাতে বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার স্ত্রী বাদী হয়ে শনিরার রাতে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাসিবুল হাসান শিপন মিনাকে হুকুমের আসামি করে ১৭ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।

এদিকে বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম তানু ভুঁইয়া হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে জেলা বিএনপি চার দিনের ঘোষিক কর্মসূচি চলাকালে রবিবার সকালে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালামের নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা কালোব্যাচ ধারন করে শহরের পুরাতন বাজার মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে সমাবেশ শুরু করলে পুলিশের বাধায় তা ভণ্ডুল হয়ে যায়।

পুলিশের অভিযানে গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন, কিলিং মিশনে অংশ নেয়া প্রধান ঘাতক ফদির শেখ (২৮) মনির (২৬), রাতুল (২৭), সিরাজুল (২৭), আলআমি (৩০), সুমন ((২৬), সোহাগ (২৫), মুকুল শেখ (৫৩) ও কবির (৫০)। এদের মধ্যে সোহাগ ছাড়া সবার বাড়ি বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি এলাকায়।

সোহাগের বাড়ি বাগেরহাট শহরতলীর কাড়াপাড়া এলাকায়। গ্রেফতারকৃত এই ৯ জনের মধ্যে কবির ছাড়া সবাই হত্যা মামলার এজহানভুক্ত আসামি। এদের নামে হত্যা, মাদক ও অস্ত্রআইনে একাধিক মামরা রয়েছে।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক রবিবার দুপুরে জেলা পুলিশ অফিসে প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান।