মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন
জ্বর, হাঁচি-কাশি আর শ্বাসকষ্ট নিয়ে সৌদি আরব থেকে শনিবারেই ঘরে ফিরেছিলেন জিনারুল হক। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার মৃত্যু হল ৩৩ বছরের এই যুবকের।
রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ওই যুবক ডায়াবেটিস মেলিটাসে আক্রান্ত ছিলেন। রক্তে শর্করার পরিমাণ ৫৫০ মিলিগ্রামের বেশি ছিল যা সাধারণ রক্তে শর্করার পরিমাণের চেয়ে অনেক বেশি।
ডায়াবেটিকস কিটোঅ্যাসিডোসিস হলেও জ্বর, শ্বাসকষ্ট, বমি হতে পারে। ‘‘আমরা জেনেছি, ওই যুবক ৫ দিন ইনসুলিন নিতে পারেননি। সেই জন্য তার শারীরিক অবস্থার খুবই অবনতি হয়েছিল।
প্রাথমিকভাবে ওই যুবকের করোনাভাইরাস ছিল বলে মনে হচ্ছে না। রবিবারেই কলকাতার নাইসেডে (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিজেস) মৃতের লালা রসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে এলে নিশ্চিত ভাবে এই বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব হবে,’’ বলেন সেই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
মৃত্যুর কারণ জানতে দেহের ময়না তদন্ত হবে কি না? এ ব্যাপারে তিনি জানান, যেহেতু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তাই আর ময়নাতদন্তের প্রয়োজন নেই।
তিনি মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের পলাশ পুকুর অঞ্চলের বাসিন্দা। তিনি সৌদি আরবের একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রায় ১ বছর ধরে পরিচ্ছন্ন কর্মীর কাজ করে আসছিলেন ।
পারিবারিক সূত্রের খবর, সম্প্রতি ফোনে জিনারুল জানিয়েছিলেন, তিনি যে হাসপাতালে কাজ করতেন, সেখানে বিভিন্ন সংক্রমণ নিয়ে রোগীরা ভর্তি হচ্ছিলেন।
তারই মধ্যে কাজ করতে করতে ওই যুবক নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়েন। সৌদি আরবে চিকিৎসা এবং ওষুধের খরচ খুব বেশি। তাই ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন জিনারুল হক।
সূত্র: আনন্দবাজার
Design and Developed By Sarjan Faraby