বৃহস্পতিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৫:০৪ অপরাহ্ন
পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাকওয়া বাসের চালক মনির ৯৯ টাকার মার্কেট থেকে একটি চাকু কিনে মাসুদকে দেয় পুলিশ সদস্য শরীফ আহমেদকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে। তিনি গাজীপুর মেট্রোপলিটনের ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত ছিলেন। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রোববার র্যাব-১-এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শফি উল্লাহ বুলবুল এই তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারের পর দুর্বৃত্তরা হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তারা হলেন- মোজাম্মেল হোসেন (২৮), মাসুদ মিয়া (২৫) ও মনির হোসেন (৩০)।
কর্নেল শফি গত ৪ মার্চ সকালে গাজীপুরের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ৮ মার্চ মরদেহের পরিচয় না পাওয়ার কারণে তাকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়। ১২ মার্চ আদালতের নির্দেশে নিহতের মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে পিবিআই জানতে পারে, নিহত ব্যক্তি গাজীপুরের ট্রাফিকে কর্মরত পুলিশ সদস্য শরীফ আহমেদ। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ। শরীফের বাবাও পুলিশের একজন সদস্য বলে জানা গেছে।
র্যাব জানায়, গাজীপুরের তাকওয়া পরিবহনের এক বাসচালকের সঙ্গে পুলিশ সদস্যের ভালো সম্পর্ক ছিল। কোনো কারণে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলে শরীফ আহমেদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ওই বাসচালক। ভাড়াটে খুনি মাসুদকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে চুক্তিতে ভাড়া করে। মাসুদ ময়মনসিংহ এলাকার কুখ্যাত খুনি বলে পরিচিত। গত ২ মার্চ চুক্তি অনুযায়ী মাসুদকে গাজীপুরে নিয়ে আসে এবং তাদের হত্যার পরিকল্পনা। করে ৩ মার্চ দুপুরে তাকওয়া বাসের ড্রাইভার মনির ৯৯ টাকার মার্কেট থেকে শরীরকে খুন করার উদ্দেশ্যে একটি চাকু কিনে দেয়। এর পরে কৌশলে রাতে শরীফ আহমেদকে তাকওয়া বাসে তুলে। এর পরে কয়েক ঘণ্টা ঘুরে আবারো গাজীপুরের দিকে আসতে থাকে। একপর্যায়ে বাসের ভিতরেই শরীফ আহমেদকে খুন করা হয়।
Design and Developed By Sarjan Faraby