নিউজ ডেস্ক :: ধর্ষণের পর গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩
দুর্গাপুরে গৃহবধূ সেলিনা খাতুনকে (৩৭) ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের জেলে পাঠানোর আদেশ দেন দুর্গাপুর চৌকির সিনিয়র চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের তেলুঞ্জিয়া গ্রামের শিমুলতলি এলাকা থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সেলিনা উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের কাকড়াকান্দা গ্রামের এমদাদুল হকের স্ত্রী। তিনি দুর্গাপুর পৌরসভার শিবগঞ্জ এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।গ্রেপ্তার হওয়া যুবকরা হলেন- উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের দাখিনাইল গ্রামের শাহ আলম (২৮), একই গ্রামের আলিম উদ্দিন (২৮) ও কাপাসাটিয়া গ্রামের মাসুম ফকির (২৫)।
জানা যায়, গত সোমবার বিকেলে বাপের বাড়ি নেত্রকোনার বাহাদুরপুর যাওয়ার কথা বলে বাসা বেরিয়ে নিখোঁজ হন সেলিনা। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি স্বজনরা। পরদিন বিকেলে ঈদের পর বন্ধ থাকা বালু ব্যবসা চালু করতে গদিঘর পরিস্কারের কাজ শুরু করেন শ্রমিকরা। এ সময় ঘর খুলতেই ভেতরে গৃহবধূর মরদেহ দেখতে পান তারা। পরে স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহত সেলিনার মা খোদেজা বেগম গতকাল রাতে বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দুর্গাপুর থানা পুলিশ ওই রাতে অভিযান চালিয়ে শাহ আলম, আলিম উদ্দিন ও মাসুম মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আনিস বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া তিন যুবক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান জুয়েল, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দুর্গাপুর সার্কেল) মাহমুদা শারমিন নেলী এবং পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।