নিউজ ডেস্ক :: নির্বাচন বর্জন করে অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে দেখতে বিএনপির ১৫ বছর কেটেছে, আর কত বছর কাটবে জানি না। এমন মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে লায়ন মুহা. মীযানুর রহমান রচিত ‘সময় এখন বাংলাদেশের’-গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
Pause
Unmute
Remaining Time -10:28
Close Player
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে যাওয়া বা না যাওয়া সেটি যে কোনো রাজনৈতিক দলের অধিকার আছে। নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারে কিংবা নাও করতে পারে, কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করার এখতিয়ার কারও নেই। নির্বাচন প্রতিহত করার কথা বলা মানে, দেশবিরোধী-গণতন্ত্রবিরোধী কথাবার্তা। সুতরাং দেশবিরোধী-গণতন্ত্রবিরোধী বক্তব্য যারা রাখবে কিংবা অপচেষ্টা চালাবে তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলব।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের, জনগণের এবং রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে অব্যাহত রাখা। সে জন্য যা কিছু করা প্রয়োজন সেটি করা হবে। আর তাদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট, তারা গণতন্ত্রকে নষ্ট করতে চায়, দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। নির্বাচন বর্জন করে অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে দেখতে বিএনপির ১৫ বছর কেটেছে, আগামী কত বছর কাটবে জানি না।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। তাদের এত জনপ্রিয়তা যেটি তারা বলেন, সেটি যাচাই করুক। তাদের এত উদ্যমী কর্মী যারা ২০ মিনিটে সমাবেশের ময়দান থেকে চলে গেছে। তাদের এত জাঁদরেল জাঁদরেল নেতা পুলিশের গুলি বা টিয়ারগ্যাসও নয়, ছোটবেলায় যে বড় বাজি ফোটাতাম সেই বাজির আওয়াজে মঞ্চ থেকে চলে গেল। এই নেতাদের ওপর তাদের কর্মীরা কতটুকু আস্থা রাখে দেখি।’
বিএনপির নির্বাচনে আসার জন্য অপেক্ষা করা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তারা একটা সিডিউল দেবেন, সেই সিডিউল অনুযায়ী নির্বাচন হবে, সে সময়ের মধ্যে তারা নির্বাচনে আসলে তাদের নিয়েই নির্বাচন হবে। আমরা চাই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। তারা যদি না আসে তাহলে তো অবশ্যই আমি মনে করি দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে অব্যাহত রাখার জন্য নির্বাচন হতে হবে। কোনো একটি দল না আসলেও আরও দল আছে তারা তো অংশগ্রহণ করবে, জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে এবং একটি অবাধ সুষ্ঠু আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন হবে।’