ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২২ মে ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশালে জমি কিনে প্র*তা*র*ণার শি*কা*র ২ ব্যক্তি

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
মে ২২, ২০২৫ ৫:৪০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বরিশাল মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন স্থানীয় মো. এমদাদুল হক সুরুজ মোল্লাসহ তিন জনের কাছ থেকে ১৩ শতাংশ জমি দুই ব্যক্তি বরিশাল সদর সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে দলিলমূলে ক্রয় করার পর এখন হয়রাণির পাশাপাশি নানাভাবে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এমন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা গ্রামের আ. রব মল্লিকের ছেলে মো. মিজানুর রহমান মল্লিক (৫০) এবং বানাড়ীপাড়া উপজেলার শাহজাহান মিয়ার ছেলে মো. জালিস মাহামুদ (৩২)।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) বেলা বারো টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

লিখিত বক্তব্যে মো. মিজানুর রহমান মল্লিক বলেন, ২০১১ সালের ২৬ ডিসেম্বর ১৪৭২৬ নং দলিলমূলে তিন জন দাতার কাছ থেকে মোট ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকার অনুকূলে ৮ শতাংশ জমি আমি ক্রয় করি। দাতা তিন জন হলেন- মো. মিজানুর রহমান খান, এমদাদুল হক সুরুজ মোল্লা ও গোলাম মহিউদ্দিন মিল্টন। জমির পুরো টাকাটা ২ নং দাতা এমদাদুল হক সুরুজ মোল্লা কে বুঝিয়ে দেই এবং ক্রয়কৃত জমিতে আমি এক তলা ভবন নির্মাণ করে বসবাস শুরু করি।

পরে ২০১৯ সালের এমদাদুল হক সুরুজ মোল্লা আমাকে অন্য দাগে জমি বিক্রি করেছে বলে আমার ভোগ দখলে থাকা ৮ শতাংশ জমি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ২৯ মার্চ স্থানীয়ভাবে আমি সহ ২ ও ৩ নং দাতাকে নিয়ে সালিশ মীমাংসা হয়। সর্ব সম্মতিক্রমে সালিশ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়- ২ মাসের মধ্যে উক্ত জমির কাগজ পত্রাদি সঠিক ভাবে এস, এ ও বি,এস রেকর্ড ত্রুটিমুক্ত করে অনলাইনে খাজনাদি পরিশোধের দাখিলা সংগ্রহ করে গ্রহীতা দ্বয়ের বরাবরে একখানা সাব কবলা দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করে দিতে বাধ্য থাকিবে। নয়তো ৪ শতাংশ জমির মূল্য বাবদ ৮ লক্ষ টাকা ১৪৭২৬ নং সাব কবলা দলিলের গ্রহীতা মো. মিজানুর রহমান মল্লিক বরাবরে বুঝিয়ে দিবে। বিগত ২৮/০৬/২০২১ তারিখের ৭১৮৮ নং রেজিস্ট্রিকৃত সংশোধনীয় সাব কবলা দলিল রেকর্ড করে দিতে বাধ্য থাকিবে।

কিন্তু আমি মো. মিজানুর রহমান মল্লিক সালিশ মীমাংসার এই শর্তানুযায়ী এখন পর্যন্ত কিছু বুঝে পাইনি। তাই আমি আমার ক্রয়কৃত জমি বুঝে চাই, নয়তো টাকা ফেরত চাই।

লিখিত বক্তব্যে জালিস মাহামুদ বলেন- আমার পিতা মো. শাহজাহান মিয়া ২০১১ সালের ১৪ জুলাই ৮১৫২ নং দলিলমূলে তিন জন দাতার কাছ থেকে মোট ২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকার অনুকূলে ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে। দাতা তিন জন হলেন- নূরজাহান (পক্ষে আম মোক্তার), সেরাজুল হক হাওলাদার (পক্ষে আম মোক্তার) ও আম মোক্তার মো. এমদাদুল হক মোল্লা।

জমি ক্রয় করার পর প্রথমে ভোগ দখল বুঝিয়ে দেয়া হলেও দিনে দিনে জটিলতা বেড়ে যায়। যেমন- এএসআই আবুল বাসার রনি দক্ষিণ পার্শ্বে প্রায় ৫ ফুট জমি দেয়াল ভেঙ্গে জোরপূর্বক নিয়ে গেছে। এরপর স্থানীয়- মো. পারভেজ মোল্লা, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. রেজা মোল্লা, মো. রুবেল হোসেন, মো. সাবু মোল্লা আমার ক্রয়কৃত জমিতে কোন কার্যক্রম করতে দেয় না। আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা জমির কাছে তারা নানাভাবে হয়রানি করে।

সংবাদ সম্মেলন শেষে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত এমদাদুল হক সুরুজ মোল্লার ব্যবহৃত (০১৭৭৫-৭৪২-৭৭১) মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি। একইভাবে এএসআই আবুল বাসারের মুঠোফোনে কল দিলে বলেন, আইন অনুযায়ী তিনি সঠিক রয়েছেন। কারো জমি জোরপূর্বক একটুও দখল নেননি।