
নিজস্ব প্রতিবেদক :: ঝালকাঠির নলছিটিতে তালাক দেওয়ার পর ১৭ দিন আটকে রেখে প্রাক্তন স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে গোলাম রাব্বি নামে এক যুবককের বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের তিমিরকাঠি গ্রামের আজিজ মোল্লার ছেলে।
শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে নলছিটি উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারী তার সাবেক স্বামীর গোলাম রাব্বির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২০১৯ সালের ২ আগস্ট গোলাম রাব্বির সাথে আমার বিবাহ হয়। বিবাহের পর সে আমার কাছে যৌতুক দাবি করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। পরে আমার পরিবার থেকে তাকে ৭ লাখ টাকা দেওয়া হয়। এরপর গোলাম রাব্বি বরিশাল নগরীর বেলতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় আমাকে রেখে প্রবাসে চলে যান। প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন কথা প্রসঙ্গে তিনি আমাকে মৌখিক তালাক দেয় এবং বাসা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেন। পরে আমি কাজীর মাধ্যমে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি তাকে তালাক দেই। এর কিছুদিন পর সে বিদেশ থেকে এসে গত ২৯ মার্চ ঢাকায় আমার বোনের বাসা থেকে আমাকে জোরপূর্বক তুলে এনে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বেলতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় তালাবদ্ধ করে রাখেন। সেখানে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে আমি ওই বাসা থেকে কৌশলে পালিয়ে আসি।
তিনি আরও বলেন- তালাকের ৩ মাস পর দপদপিয়া ইউনিয়নের কয়া এলাকার এমদাদুল হকের ছেলে জাহিদুল ইসলামের সাথে আমার বিবাহ হয়। বিবাহ হওয়ার পরে আমার বিরুদ্ধে আদালতে ব্যভিচার ও স্বর্ণ-নগদ টাকা চুরির মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন সাবেক স্বামী গোলাম রাব্বি। ওই মামলায় আমার বর্তমান স্বামী জাহিদুল ইসলামকেও আসামি করা হয়। মিথ্যা মামলায় আমরা ১৩ দিন কারাগারে থাকার পর আদালতে তালাক ও বর্তমান বিয়ের কাগজপত্র দাখিল করলে আমাদের জামিন হয়। কারাগারে থাকাকালীন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বর্তমান স্বামী ও আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা কল্পকাহিনী রটিয়ে আমাদের সম্মানহানি করেন গোলাম রাব্বি। বর্তমানে তার উপুর্যুপরি হুমকি-ধমকিতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছি।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারীর বর্তমান স্বামী জাহিদুল ইসলাম ও শ্বশুর ইমদাদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে ওই নারীর সাবেক স্বামী গোলাম রাব্বি বলেন, সংবাদ সম্মেলনে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার সম্মানহানি ও হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এসব অভিযোগ তোলা হয়েছে।’