নিউজ ডেস্ক :: বরগুনার পাথরঘাটায় গাঁজা বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় দুই যুবককে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগ উঠেছে দুই মাদক বিক্রেতার বিরুদ্ধে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন দুজন। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ১নং রায়হানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে- ওই সাওন চৌধুরী ও বশির দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। সৈয়দ ফজলুল হক কলেজের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ হাসান তাদের মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে বলায় রাতের আধারে জাহিদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তার সাথে থাকা সাগর ও রুবেল বাঁধা দিলে তাদের ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে তাদের হাতের রগকেটে যায় ও বুকে বড় ছিদ্র হয়। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে প্রথমে লেমুয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। ঘটনার পর অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বাড়িঘরে তালা দিয়ে গা-ঢাকা দেয়। পরে খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করে এবং একজনকে আটক করেছে।
গুরুতর আহত মো. সাগর (২২) উপজেলার রায়হানপুর এলাকার মো. শাহাজাদার ছেলে ও সোবাহান হাওলাদারের ছেলে রুবেল। অভিযুক্তরা হলেন মাদক বিক্রেতা সাওন চৌধুরী ওরফে বাতেন ও বশির।
রায়হানপুর ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর মুন্সি জানান, সাওন চৌধুরী ও বশির দুজনে সেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে মাদক ব্যবসা করে আসছে বর্তমানেও তারা চালিয়ে যাচ্ছে। আর এই মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে বলায় রাতের আধারে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।
সৈয়দ ফজলুল হক কলেজের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ হাসান জানান, গতকাল রাতে আমি বাড়িতে যাবার সময় আমার উপরে পরিকল্পনা করে হামলা চালায়, তবে পিছন থেকে আমাকে লক্ষ্য করে ছুরি মারলে আমার সাথে থাকা সাগর বাঁধা দিলে তিনি গুরুতর আহত হয়। তার হাতের রগকেটে যায় ও বুকে বড় ছিদ্র হয়।
অভিযুক্ত সাওন চৌধুরী ওরফে বাতেন পুলিশ হেফাজতে থাকলে এবং বশির পলাতক থাকায় তাঁদের ভাষ্য পাওয়া যায়নি।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনা স্থানে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
