নিউজ ডেস্ক :: দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন : ১৬ দিনে বিএনপির ১৭ নেতা বহিষ্কার।
দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিল করায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে ১৭ জন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ১৫ নভেম্বর থেকে ১৬ দিনে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বহিষ্কৃত নেতাদের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় নেতা আটজন হলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান, তাঁতীবিষয়ক সহসম্পাদক রাবেয়া ভূঁইয়া, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, শাহ শহীদ সারোয়ার, মতিউর রহমান মন্টু, খন্দকার আহসান হাবিব ও এ কে এম ফখরুল ইসলাম।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বহিষ্কৃত সাতজন নেতা হলেন- শেরপুর জেলা বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক জায়েদুর রশিদ শ্যামল, সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবদুল্লাহ, পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য আবদুল আজিজ, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য মাহবুবুল হাসান, ঢাকার ধামরাই পৌর বিএনপির সভাপতি দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু, চাঁপাইনবাবগঞ্জের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবদুল মতিন ও সর্বশেষ গতকাল বিকালে বহিষ্কার হয়েছেন জামালপুর জেলা বিএনপির সদস্য ও ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি হোসেন রেজা বাবু।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) শাহজাহান ওমর আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ঝালকাঠি-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর আগে নতুন নিবন্ধিত বিএনএমে যোগ দিয়ে শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর ফরিদপুর-৪ আসনে এবং মতিউর রহমান মন্টু রাজশাহী-৩ আসনে, ‘স্বতন্ত্র গণতন্ত্র মঞ্চ’ গঠন করে খন্দকার আহসান হাবিব টাঙ্গাইল-৫ আসনে এবং এ কে এম ফখরুল ইসলাম ঝালকাঠি-২ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান ব্রাক্ষণবাড়িয়া-১ আসনে এবং শাহ শহীদ সারোয়ার ময়মনসিংহ-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বহিষ্কৃত জেলা নেতাদের মধ্যে বিএনএম থেকে শেরপুরের মো. আবদুল্লাহ শেরপুর-১ আসনে ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আবদুল মতিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে, তৃণমূল বিএনপি থেকে জায়েদুল রশিদ শ্যামল শেরপুর-২ আসনে ও পঞ্চগড়ের আবদুল আজিজ পঞ্চগড়-২ আসনে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দেওয়ানগঞ্জের মাহবুবুল হাসান জামালপুর-১ আসনে এবং ধামরাইয়ের দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু ঢাকা-২০ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
রাবেয়া সিরাজ তার মেয়ে শুক্লা সিরাজ যিনি টাঙ্গাইল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তার পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণায় প্রকাশ্যে অংশ নিচ্ছে বলে জেলা পর্যায় থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করে কেন্দ্রকে জানানো হয়। এ ছাড়াও দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে গতকাল টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার ওয়াহিদ মুরাদ ও মধুপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার আনোয়ারুল হককে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে বান্দরবান জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবদুল কুদ্দুছকেও দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।