ঢাকাশনিবার , ১৫ নভেম্বর ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশালে শতবর্ষী সীতারাম বসুর দিঘী দখলমুক্ত করতে তদন্তের নির্দেশ

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
নভেম্বর ১৫, ২০২৫ ১:১১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল নগরীর কাশিপুরে শতবর্ষী ঐতিহাসিক সীতারাম বসুর দিঘী অবৈধ দখলমুক্ত করতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ রায়হান কাওছার। দীর্ঘদিন ধরে ওই দিঘীটি আলী হোসেন হাওলাদার ওরফে আলী চেয়ারম্যান নামে এক ব্যক্তির অবৈধ দখলে রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

জানা যায়, নগরীর কাশিপুর বাজার সংলগ্ন প্রায় তিন একর জমির উপরে শতবর্ষ আগে এলাকাবাসীর সুপেয় পানি ও ব্যবহারের উদ্দেশ্যে খনন করা হয় একটি দিঘী। দিঘীটি তৎকালিন জমিদার সীতারাম বসুর নামে পরিচিতি লাভ করে। পরবর্তীকালে এসে স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান আলী হোসেনের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে দিঘীটির উপর। আস্তে আস্তে দিঘীর চারপাশ ভরাট করে বিক্রি করতে থাকেন তিনি। এক সময় বালি ফেলে পুরো দিঘী ভরাটের উদ্যোগ নেন তিনি। এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় সচেতন মহল। এতে ভরাট কার্যক্রম থামাতে না পেরে জনস্বার্থে আদালতের দারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী।

আরও দেখুন
বিশেষ সংবাদ
কমিউনিটি সুরক্ষা প্রোগ্রাম
আইনি সফটওয়্যার
সংবাদপত্রের সাবস্ক্রিপশন
আইনি সহায়তা
রাজনীতি সংবাদ
জাতীয় সংবাদ
বরিশাল
ব্যক্তিগত সুরক্ষা অ্যালার্ম
আইনি পরামর্শ
হাইকোর্টের ৫৭১৪/২০২০ নম্বর রিট মোতাবেক উক্ত দিঘীটি সিএস ম্যাপ ও আরএস ১০৫০/১০৫১ নম্বর খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত আরএস তথা এসএ ৮৪২ দাগে ২.৯৮ একর জমির ওপর অবস্থিত। সুপ্রিম কোর্ট ও বরিশাল জজ কোর্টের আইনজীবী এম. মাসুদ হাওলাদার গত ২১ অক্টোবর বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কাছে দিঘীর জমি উদ্ধারের আবেদন করেন।

এরই প্রেক্ষিতে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে গত ৩ নভেম্বর জারি করা অফিস আদেশে বলা হয়, ঐতিহাসিক সীতারাম বসুর দিঘী সংরক্ষণ ও অবৈধ দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে প্রায় ২.৯৮ একর জমির বর্তমান অবস্থা যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিভাগীয় কমিশনারের পক্ষে জারি করা ওই আদেশে স্বাক্ষর করেন উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) প্রতীক কুমার কুন্ডু। এতে বরিশাল আঞ্চলিক সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া জেলা প্রশাসক, সিটি কর্পোরেশন, সদর উপজেলা ভূমি অফিস এবং সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, প্রশাসনের এ পদক্ষেপ ঐতিহ্যবাহী জলাশয়টি রক্ষা ও সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।