প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪, ৭:২৩ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ২৫, ২০২৪, ৫:৫১ অপরাহ্ণ
কাউখালীতে পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি সেতু নির্মাণ কাজ, জনগণের ভোগান্তি চরমে
রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :: পিরোজপুরের কাউখালীতে সেতুর কার্যাদেশ পাঁচ বছর অতিবাহিত হলেও নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় স্থানীয় জনগণ চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। জানাগেছে, উপজেলার শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের শিয়ালকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পাঙ্গাশিয়া খালের উপর প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয় আরসিসি গার্ডার সেতুটি নির্মাণ কার্যাদেশের পাঁচ বছরেও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর ৫ কোটি ৭৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩৭ মিটার আরসি গাডার ব্রিজের টেন্ডার হয়। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে এক বছরের চুক্তিতে নির্মাণ কাজটি শেষ করার কথা থাকলেও দফায় দফায় সময় বৃদ্ধি করে পাঁচ বছরেও কাজটি শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। উল্লেখ্য খালের উপর থাকা পূর্বের লোহার সেতুটি অপসারণ করে নতুন সেতু নির্মাণ করার জন্য পাইলিং এর কাজ শেষ করে ফেলে রাখে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। যার ফলে স্থানীয় মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি দিয়ে ৮ গ্রামে মানুষ যাতায়াত করে। এছাড়া ব্রিজের দক্ষিণ পাড়ে জোলাগাতি মুসলিম আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জোলাগাতি ফাজিল মাদ্রাসা, জোলাগাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খালের উত্তর পাড়ে শিয়ালকাঠী ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস রয়েছে। ফলে এসব অফিস এবং স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা এই সেতুটি। অথচ বিকল্প কাঠের সেতুটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ যেকোনো সময় ভেঙ্গে খালের ভিতরে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সহ প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। খালের দুই পাড়ের জনগণসহ হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তি শিকার হচ্ছে। স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নুরুল আমিন মাঝে মাঝে সেতুর নির্মাণ কাজ করেন আবার বন্ধ করে দেন। যার ফলে এলাকার মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই, কবে এই সেতুর নির্মাণে কাজ শেষ হবে? জোলাগাতি মুসলিম আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুস্তম আলী বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীসহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ঝুঁকির ভিতর অস্থায়ী কাঠের সেতু পার হয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীরা আসা-যাওয়া করে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মোঃ নুরুল আমিন বলেন, আমরা শীঘ্রই সেতুটি নির্মাণ করে ফেলব আমাদের কাজ চলমান রয়েছে। শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এই সেতুটি ইউনিয়নের অতি গুরুত্বপূর্ণ সেতু। সেতুটি নির্মাণে বিলম্ব হওয়ার কারণে এলাকাবাসীর খুবই সমস্যা হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী ইমতিয়াজ হোসাইন রাসেল বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Copyright © 2024 Crime Times. All rights reserved.