আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইসলামিক জোটের আহ্বান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোর জোটবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
শুক্রবার (০৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ইস্তাম্বুলে ইসলামিক স্কুল অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এরদোয়ান বলেন, ইসলামিক দেশগুলোর এক হওয়াই ইসরায়েলি সন্ত্রাসবাদ আটকানোর একমাত্র পথ।
তিনি বলেন, তুরস্ক সম্প্রতি সিরিয়া ও মিসরের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দিচ্ছে। কারণ ইসরায়েলের ‘ক্রমবর্ধমান সম্প্রসারণবাদের ঝুঁকি’ থামাতে চায় তুরস্ক। ইসরায়েলি সম্প্রসারণবাদ লেবানন ও সিরিয়াকেও হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে।
গত সপ্তাহে তুরস্ক সফরে আসেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। এটি গত এক যুগের মধ্যে দেশটির প্রথম কেনো প্রেসিডেন্টের সফর। এ সফরে গাজা যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
মিসেরর তৎকালীন সেনাপ্রধান সিসি মুসলিম ব্রাদারহুডের মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করেন। ২০১৩ সালে মুরসি সরকার পতনের পর তুরস্ক ও মিসরের মধ্যকার সম্পর্ক ভেঙে পড়ে। মুরসি তুরস্কের মিত্র ও দেশটির গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০১২ সালে সবশেষ তুরস্ক সফর করেছিলেন তিনি।
ইউরোপীয় বিশ্লেষকদের ধারণা, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুরস্কের প্রভাব খানিকটা কমে এসেছে। ফলে তা পুনরুদ্ধার করতে ইউরোপ থেকে শুরু করে এশিয়া ও আমেরিকা সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
থিঙ্ক ট্যাংক আটলান্টিক কাউন্সিলের বিশ্লেষক ওমর ওজকিজিলসিক জানান, আঙ্কারার নীতি নির্ধারকরা তুরস্কের স্বার্থান্বেষী চোখে গোটা বিশ্বকে দেখছেন। তারা তুরস্কের কূটনীতিকে চারদিকে ছড়িয়ে দিতে চান এবং এশিয়ার উদীয়মান কোনো শক্তির সঙ্গেই অংশীদারত্বের সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না।