নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল নাগরীতে শিক্ষক ভবন দখল নিতে শিক্ষকদের মা*রা*মারি
বরিশালে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের মধ্যে ১০ কোটি টাকা মূল্যের একটি পাঁচতলা ভবন দখল নিয়ে রীতিমতো লড়াই চলছে। এই শিক্ষক ভবন দখলকে কেন্দ্র করে সর্বশেষ শিক্ষকদের দুটি সমিতির নেতা-কর্মীদের মধ্যে মরিচের গুঁড়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছে। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা ভবন থেকে দুই পক্ষকে নামিয়ে দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মাধ্যমে ভবনটি বুঝিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান।
গত শনিবার শিক্ষকদের দুটি সমিতির মধ্যে মরিচের গুঁড়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপের এ ঘটনা ঘটে।
একাধিক শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত শতকে যখন শুধু শিক্ষক সমিতি ছিল, তখন সমিতির প্রশ্নপত্র বিক্রির রমরমা বাণিজ্য ছিল। ওই টাকায় ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে
বরিশাল শহরের ফকিরবাড়ি সড়কে ৮ শতক জমি কেনা হয়। পরবর্তী সময়ে সেখানে পাঁচতলা বাণিজ্যিক ভবন করা হয়। ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে এই শিক্ষক সমিতি ভেঙে যায়। এ সময় শিক্ষক সমিতি (কামরুজ্জামান) গ্রুপ গঠন হলে ভবনটি এই পক্ষের দখলে ছিল। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে কামরুজ্জামান গ্রুপকে হটিয়ে অপরপক্ষ দখলে নেয়। ভবনটি ভাড়া দিয়ে প্রায় ৮০ হাজার টাকা উঠত। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরদিন আওয়ামীপন্থীদের হটিয়ে আবারও দখলে নেয় কামরুজ্জামান গ্রুপ।
সর্বশেষ গত শনিবার গভীর রাতে ভবনটি ফের দখল করে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। এ নিয়ে নগরের ফকিরবাড়ি রোডের শিক্ষক ভবনে শিক্ষকদের দুই পক্ষে মরিচের গুঁড়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
শিক্ষক সমিতির (কামরুজ্জামান) সভাপতি প্রণব ব্যাপারী বলেন, শিক্ষক ভবনের জমির দলিল কামরুজ্জামান গ্রুপের নামে। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ১৫ বছর ধরে জোর করে দখল করে আছে।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি আ. রশিদ বলেন, ‘এই শিক্ষক ভবন আমাদের। ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর একটি পক্ষ এটি দখল করে। এখন আমরা আমাদের ভবন বুঝে নিয়েছি। তারা যদি আসতে চায়, তাহলে এসে আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন।’