নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজের শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সহকারি অধ্যাপক মোঃ আল-আমিন সরোয়ারের অবৈধ সম্পদ অর্জনের তদন্ত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করেছেন মোঃ নাসির উদ্দিন মিয়া নামে এক ব্যক্তি। মোঃ আল-আমিন সরোয়ার মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজে সহকারি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এর আগে তিনি সরকারি ব্রজমোহন কলেজে কর্মরত ছিলেন।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনেরে বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বরাবর এ অভিযোগ দেয়া হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- সহকারি অধ্যাপক আল- আমিন সরোয়ার দীর্ঘদিন যাবৎ কাকতালীয় ভাবে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। একজন সরকারি চাকুরিজীবি হয়ে তিনি কিভাবে এতো সম্পদের মালিক হন? আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে জিরো থেকে হিরো হন বরগুনা জেলার বাসিন্দা তৎকালিন বিএম কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো: আল আমিন সরোয়ার। বর্তমানে তিনি মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজে কর্মরত আছেন। দুর্নীতির টাকায় বরিশালে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। নামে-বেনামে গড়া তার এই সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা চলছে বরিশাল শহরে। বরিশাল বিএম কলেজ শিক্ষক সমিতির সম্পাদক হয়ে প্রভাব খাটিয়ে দু’হাতে কামাই করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। বরিশাল শহরে জেলে বাড়ি এলাকায় রয়েছে একটি ৪ তলা বাড়ি, হাসপাতাল রোড (অমৃত লাল কলেজের) শেখ নাসির সাহেবের বাসার পাশে ১১ তলা বিলাসবহুল ভবনে একটি আধুনিক ফ্লাট, বরিশাল বিএম কলেজ মসজিদ গেটের সামনে সৌহার্দ নামের ১১ তলা ভবনে একটি ফ্লাট, নিজ গ্রাম বরগুনা, বাবুগজ্ঞ বাজার (পুলিশ ক্যাম্পের পাশে) রয়েছে সুসজ্জিত বিলাসবহুল বাড়ি। এই বাড়ির মতো দ্বিতীয় বাড়ি ঐ গ্রামে আর নেই। দীর্ঘদিন বিএম কলেজের শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক পদ আগলে রেখে অবৈধ এ সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। ভর্তি বাণিজ্য, কলেজের উন্নয়ন খাতের টাকা আত্মসাৎসহ ২০১৯ সালে সুরেন্দ্র ভবন ছাত্রাবাসের জমিতে ২৭টি দোকান থেকে মাসে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে। ২০০৯-২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে বিএম কলেজের শিক্ষক সমিতির পদটি তিনি অবৈধভাবে ধরে রাখায় কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় আসে। এছাড়াও তার অবৈধ সম্পদের মধ্যে আছে নগরীর কাশিপুর এলাকায় প্রায় ২ একর জমি প্রায়। জমিসহ ভবনের দাম প্রায় ২০-২৫ কোটি টাকা। এই এলাকায় প্রতি শতক জমির দাম ৮ লাখ টাকা। এভাবেই তিনি নিজ ও স্ত্রীর নামে বে-নামে করেছেন অঢেল সম্পত্তি। যা দুদকের তদন্তে বেড়িয়ে আসবে বলে আমি মনে করেন অভিযোগকারী মোঃ নাসির উদ্দিন মিয়া।
দুদকে অভিযোগ দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে মোঃ নাসির উদ্দিন মিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে জিরো থেকে হিরো হয়েছেন সহকারী অধ্যাপক মো: আল আমিন সরোয়ার। দুর্নীতির টাকায় বরিশালে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। নামে-বেনামে গড়েছেন সম্পত্তি। আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে বিএম কলেজের শিক্ষক সমিতির পদটি তিনি অবৈধভাবে ধরে রাখে এ সব অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। যা যা দুদকের তদন্তে বেড়িয়ে আসবে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে সহকারি অধ্যাপক মোঃ আল-আমিন সরোয়ারে বলেন, যিনি অভিযোগ করেছেন করেছেন উনি আমার আত্মীয়। আমাকে প্রশ্ন না করে তাকে প্রশ্ন করলে সে ভালো উত্তর দিতে পারবে।