নিজস্ব প্রতিবেদক :: অবশেষে দীর্ঘ প্রায় দশ বছর পরে কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের খানাখন্দে একাকার হওয়া ১১ কিলোমিটার অংশের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার বিকেলে হাজিপুর থেকে পাখিমারার দিকের অংশের সংস্কার কাজ শুরু হয়। ফলে কুয়াকাটাগামী পর্যটকসহ সাধারণ মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। একটি মামলার কারণে এই সড়কের পাখিমারা থেকে আলীপুর থ্রিপয়েন্ট পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার অংশের সংস্কার কাজ বন্ধ থাকে।
এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। জানা গেছে, ২০০৯-২০১৪ অর্থবছরে এ সড়কের পাখিমারা বাজার থেকে ১১ কিলোমিটার অংশের উন্নয়ন কাজ করে ‘রূপসা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নিম্নমানের কাজ করায় সওজ বিভাগ বিল আটকে দেয়। চূড়ান্ত বিলের দাবি করে ২০১৪ সালে হাইকোর্টে রিট করেন ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। আদালত মামলার প্রেক্ষিতে ১১ কিমি সড়কের ওপর সংস্কার কাজে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন। যার ফলে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সংস্কারবিহীন সড়কটির এ অংশ। সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর কলাপাড়া-কুয়াকাটা ২২ কিলোমিটার সড়কের খারাপ ১১ কিলোমিটার পূর্ণাঙ্গভাবে সংস্কারের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে গত শনিবার বিকেলে হাজীপুর পয়েন্ট থেকে পাখিমারার দিকের অংশের সংস্কার কাজ শুরু হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সড়কের কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
কুয়াকাটা পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, সংস্কারের অভাবে এই মহাসড়কের ১১ কিলোমিটার যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এর ফলে পর্যটকরা কুয়াকাটা আসতে অনীহা প্রকাশ করত। এখন সেই খানাখন্দে ভড়া মহাসড়কের কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে কুয়াকাটাগামী পর্যটকসহ সাধারণ মানুষের একটি ভোগান্তির অবসান হতে চলছে।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী রুমান ইমতিয়াজ তুষার তিনি তার ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, আলহামদুলিল্লাহ কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের জন্য সু-খবর পাখিমারা- কুয়াকাটার আলীপুরবন্দর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রাস্তার ফিনিশিং কাজ পুরোদমে চলছে। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যেই বিলাসবহুল গাড়িতে আরামে কুয়াকাটায় ভ্রমণ করতে পারবেন। এজন্য ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কুয়াকাটার সকল স্টেক হোল্ডার, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ কুয়াকাটাস্থ পর্যটন সংগঠন গুলোর নেতৃবৃন্দকে। যারা এ সড়কটি নিয়ে বার বার কথা বলেছেন। তবে এ সড়কটির কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগসূত্রে জানা গেছে, দ্রুত এ কাজটি সম্পন্ন করা হচ্ছে। আর এর ফলে এই অঞ্চলের মানুষের একটি ভোগান্তির অবসান হতে চলছে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা এ কারণে স্বস্তি প্রকাশ করেন।