নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরগুনায় ধ*র্ষণ প্রতিরোধক জুতা আবিষ্কার করল স্কুল ছাত্র
ধর্ষণ প্রতিরোধ, ও জরুরি অবস্থায় নারীদের সহায়তার জন্য অসাধারণ জুতার উদ্ভাবন করেছে বরগুনার স্কুলছাত্র নিনাত। জুতাটি হাঁটার সময় অটোমেটিক চার্জ হবে, এটা লাগানো আছে জিপিএস ট্রাকার এবং ২৫০ ভোল্টের ইলেকট্রিক শক গান, এমন এক আশ্চর্যজনক জুতা তৈরী করেছে নিনাত। তার পুরো নাম আব্দুল্লাহ আল সাইম ( নিনাত)।
উদ্যমে ক্ষুদে বিজ্ঞানী নিনাত বর্তমানে নবম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছে। তিনি নিজের হাতে ড্রোন, প্লেন, লঞ্চ এছাড়াও প্রায় অর্ধশত বিভিন্ন জিনিস উদ্ভাবন করেছেন। সে বরগুনা এভারগ্রীন বিদ্যালয়ের ছাত্র। বাবা শিক্ষক মো. হাবিবুল্লাহ কালাম। মা গৃহিণী শাহনাজ বেগম শিল্পী। সাইম বরগুনার সাবেক মেয়র শাহাদাত হোসেনের ছোট ভাইয়ের ছেলে।
আবদুল্লাহ আল সাইম বলেন, একজন নারী হেনস্থার শিকার হয়, বা তাদেরকে টেনে হিচড়ে কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়। এ অবস্থায় সে সাহায্য চাওয়ার জন্য তার মোবাইল ফোনে কাউকে কল দিতে অথবা মেসেজ দিয়ে সাহায্য চাইতে পারে না। এইজন্য তৈরি করার জুতায় একটি জিপিএস ট্রাকার ব্যবহার করেছি। যার মাধ্যমে জরুরি অবস্থায় কোন নারী সহায়তা প্রয়োজন হলে যতটা সামনের দিকে একবার প্রেস করলে জিপিএস স্ট্রাকারে থাকা সেট করা নির্দিষ্ট একটি নাম্বারে (হতে পারে সেটি আপনার মা-বাবা, ভাই-বোন অথবা নিকটতম কোন আত্মীয়র) কাছে সাহায্য চেয়ে একটি মেসেজ যাবে, দুইবার ক্লিক করলে সরাসরি একটি কল যাবে যার মাধ্যমে ঐ ব্যক্তি বুঝতে পারবে আপনার সাহায়তা প্রয়োজন এবং আপনার সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবে যে জিপি স্ট্রাকার এর মাধ্যমে আপনার লাইভ লোকেশন দেখে সেখানে আসতে পারবে এবং আপনাকে উদ্ধার করতে পারবে। ওই অবস্থায় তাৎক্ষণিক আত্মরক্ষার জন্য অন্য জুতাটি ব্যবহার করতে পারবে। জুতায় লাগানো আছে ২৫০ কিলো ভোল্টের ইলেকট্রিক শক এবং জুতার নিচে লাগানো হয়েছে পায়োজোইলেকট্রিক প্লেট। যার মাধ্যমে যখন জুতাটি পরে হাটা হবে তখন জুতাটিতে অটোমেটিক চার্জ হয়ে যাবে।
এছাড়াও আবদুল্লাহ আল সাইম ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় ড্রোন আবিষ্কার চেষ্টা করেন। তিন বছর পরে অষ্টম বারের চেষ্টায় সফল হয় ড্রোন আবিষ্কারে। এফ টুয়েন্টি টু যুদ্ধ বিমানের আদলে দুই মাস ধরে চেষ্টা চালিয়ে সফল ভাবে তৈরি করে যুদ্ধ বিমান। নাম দিয়েছে নিনাত এফ টুয়েন্টি টু র্যপটোর। সাইম অন্ধ লোকের জন্য তৈরি করেছে চশমা। সাইম গত বছর বিজ্ঞান প্রযুক্তি মেলায় জেলা পর্যায়ে প্রথম হলেও জাতীয় পর্যায়ে ২০ তম স্হান অধিকার করেছে। এ বছরে ধর্ষণ প্রতিরোধক মেয়েদের জন্য জুতা আবিস্কারে প্রথম হতে চান তিনি। ভবিষ্যতে সে একজন ইঞ্জিনিয়ার হতে চান ক্ষুদে এ বিজ্ঞানী এবং চালিয়ে যেতে চান তার উদ্ভাবনী বিজ্ঞান আবিস্কার।
এ ব্যাপারে আবদুল্লাহ আল সাইম নিনাতের বাবা শিক্ষক মো. হাবিবুল্লাহ কালাম বলেন, এ পর্যন্ত তারা পারিবারিক ভাবে এ সকল ক্ষুদ্র আবিষ্কারের পিছনে ব্যয় বহন করে আসছে। সরকারের সহযোগিতা পেলে আবিষ্কার ও গবেষণায় আরো অনেক দুর এগিয়ে যাবে।