নিজস্ব প্রতিবেদক :: পটুয়াখালীতে ২৩০পিস ইয়া*বাসহ মা*দক ব্যবসায়ী গ্রে*প্তার
পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলায় গত শনিবার ভোরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে এক যৌথ অভিযান চালানো হয়। এসময় মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ২৩০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। সাইফুল পূর্ব সুবিদখালী গ্রামের মোঃ হারুন রাঢ়ীর জ্যেষ্ঠ পুত্র।
মির্জাগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন রিমান রাফিন নিশাত অভিযান পরিচালনা করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, দীর্ঘদিনের মাদক ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের বাড়িতে বেশ কিছু ইয়াবা ট্যাবলেটের চালান এসেছে। এর পরিপ্রক্ষিত,শনিবার ভোর রাতে অভিযানের চালানো হয়।
যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সাইফুল পালানোর চেষ্টা করলে, সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে আটক সহ তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২৩০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেন। গ্রেফতারের পর সাইফুলকে উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ মির্জাগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়।
ক্যাপ্টেন রিমান রাফিন নিশাত বলেন, “মাদকের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। মাদকবিরোধী কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করা হবে এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হবে, যাতে এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা সুরক্ষিত থাকে।
তিনি আরও বলেন, “মাদকের বিষয়ে সেনাবাহিনী কোনো ধরনের আপস করবে না। মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত গডফাদার ও মাদক সম্রাটদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
স্থানীয়রা জানান,উপজেলার অভ্যন্তরের মাদক ব্যবসায়ীরা আওয়ামীলীগের শাসনামলের চিহ্নিত কিছু গডফাদারদের ছত্র ছায়ায় মাদকের ডিলারদের নিকট থেকে সরাসরি মাদক এনে ব্যবসা করেছে। ৫ আগস্ট,পট পরিবর্তনের পর এই ডিলার ও মাদক সম্রাটেরা কিছুটা কৌশলে খোলস পাল্টিয়ে পর্দার অন্তরাল থেকে বর্তমানে মাদক সাপ্লাই দিচ্ছে।
ডিলারদের লিস্ট করে গ্রেফতার অভিযান করা হলে মির্জাগঞ্জ থেকে মাদক নির্মুল হবে বলে তাঁরা সবাই আশা পোষণ করেন।
থানা সূত্রে জানা যায়,উল্লেখ্য, সাইফুল ইসলামের নামে জিআর ২৭/২০২০ মির্জাগঞ্জ থানায় ১ টি মাদক মামলা রয়েছে এবং তাঁর ছোট ভাই হাফিজুর রহমান (১৯) এর নামেও একটি মাদক মামলা রযেছে।
মির্জাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শামীম হাওলাদার জানান,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় ধৃত সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং পরবর্তী আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে