নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গঠন করা কমিটি ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর ‘শতবর্ষ’ উদযাপন করতে চাইলেও সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাধা দিয়েছে। তাদের দাবি, জুলাই-আগস্টের গণঅদ্ভুত্থানে শহীদদের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি, তাই এ বছর কোনো আনন্দ-উল্লাস হবে না।
সেই প্রেক্ষিতে, ২০২৪ সালে ‘শতবর্ষ’ উদযাপন আয়োজন বন্ধ করতে জেলা প্রশাসক ও সরকারি বালিকা বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক বরাবর আবেদন দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে ওই কমিটি ‘শতবর্ষ’ উদযাপনের ঘোষণা দিলেও জেলা প্রশাসক ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি।
বরিশাল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমা খানম বলেন, শতবর্ষ উদযাপনের বিষয়ে আমাকে অবহিত করা হয়নি। আমার কাছে অনুমতিও চাওয়া হয়নি। শুনেছি কে বা কারা ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর শতবর্ষ উদযাপন করার একটি ব্যানার টানিয়েছিল। পরবর্তী তারাই আবার ব্যানারটি খুলে ফেলে।
তিনি বলেন, বর্তমান শতবর্ষ উদযাপনের যে কমিটি রয়েছে, সেই কমিটির সঙ্গে ঝামেলা চলছে। তাই শতবর্ষ উদযাপনের বিষয়টি এখন অনিশ্চিত।
বরিশাল জেলা প্রশাসক ও সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, শুনেছি কে বা কারা শতবর্ষ উদযাপন করার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে আমাকে অবহিত করা হয়নি। পদাধিকার বলে আমি বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি। নিয়ম হচ্ছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শতবর্ষ উদযাপন করার জন্য অনুমতি চেয়ে আমার কাছে লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা কেউ করেনি। অথচ শুনছি ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনের একটি ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অনুমতি না নিয়ে সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন করার প্রশ্নই আসে না।
বরিশাল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক শাহ সাজেদা বলেন, শতবর্ষ উদযাপন করার কোনো সময় ঘোষণা করা হয়নি। ব্যানার কে বা কারা টানিয়েছে তা জানি না। আর জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে, তিনি শতবর্ষ উদযাপন কমিটির পুনর্গঠন করার জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দিয়েছেন। কারণ আমি আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করব না।