নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগে (এলজিইডি) দায়িত্বরত প্রকৌশলী ইকবাল কবিরের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ। তবুও বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি।
২০২৩ সালে ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ভাইরাল হয় ইকবালের। সেই থেকে আলোচিত-সমালোচিত হন তিনি। ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ভাইরালের পর তদন্ত শুরুর কথা শুনলেও কোনো তথ্য দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। একটি অফিস সূত্রের দাবি, তদন্ত নামমাত্র শুরু হলেও অনৈতিক সুবিধার মধ্যে তা ফাইলবন্দি রয়েছে।
এদিকে ঘুষের টাকাসহ ভিডিও সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লেও তার কোনো প্রতিকার পাননি ভুক্তভোগীরা। বরং ভিডিও ধারণকারীকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন ইকবাল কবির।
গণমাধ্যমে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধীকারীরা সংবাদকর্মীদের অভিযোগ করে বলেন, প্রকৌশলী ইকবাল কবিরের বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদীতে। সেখানে তিনি ঠিকাদারদের দিয়ে বস্তায় বস্তায় ইলিশ মাছ ‘উপহার’ পাঠাতে বাধ্য করেন । তিনি ৫ আগস্টের পর সাধারণ ঠিকাদারদের আওয়ামী লীগপন্থী বলে চালিয়ে দিয়ে বিল আটকে দিচ্ছেন। আবার যে পরিমাণ ঘুষ দাবি করছেন তা পেলে ফাইল ছাড়ছেন। তিনি এতটাই বেপরোয়া যে তার বদলি রাজাপুর হওয়ার পরও টাকার জোরে তা থামিয়ে নলছিটিতেই থেকে গেছেন। কারণ এ উপজেলায় দুর্নীতি দমন কমিশন বা অন্য তেমন কারও নজর সহজে পড়ে না।
এদিকে ভাইরাল সেই ৪৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিও আবারও আলোচনায় আসে এবং নতুন করে বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে ইকবাল কবিরের বিচার চান অনেকে। ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, নিজ দফতরের চেয়ারে বসে থাকা প্রকৌশলী ইকবাল কবিরকে অপর পাশ থেকে টাকা দেওয়া হচ্ছে। টাকাটা টেবিলে রাখার কিছুক্ষণের মধ্যে হাতে নিয়ে পকেটে রেখে দেন ইকবাল কবির।
এ বিষয়ে ইকবাল কবিরকে ফোন দিলে তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি এবং হোয়াটসঅ্যাপে তাকে খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।
তদন্তের বিষয় জানতে ঝালকাঠির এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী দপ্তরে লিখিতভাবে জানতে চাইলে এর কোনো উত্তর এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হাতে আসেনি প্রতিবেদকের।