নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মাইশা ফৌজিয়া মিম সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার প্রতিবাদে অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে করে সড়কের দুই প্রান্তে বিপুলসংখ্যক যানবাহনের জট লেগেছে। এ সময় অভিযুক্ত গাড়িচালক, হেলপার ও মালিকের গ্রেফতারপূর্বক বিচার এবং এবং বরিশাল-ভোলা ও বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করাসহ একাধিক দাবি জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মুখভাগে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। তবে এই সময় তারা কোনও ধরনের স্লোগান দেননি, নীরবতা পালন করেছেন। এ সময় তাদের দাবিপূরণ দৃশ্যমান না হওয়া পর্যন্ত সড়ক থেকে উঠবেন না বলেও জানানো হয়।
অবরোধের মধ্যে বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় মূল ফটকের সামনে মাইশার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় মাইশার বাবা-মা, আত্মীয়স্বজনসহ বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি, বিভাগীয় কমিশনার এবং সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করায় উভয় প্রান্তে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়েছে। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছেন পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা যাওয়া এবং সেখান থেকে ফিরে আসা যাত্রীরা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। নিরাপত্তার সার্বিক দায়িত্ব পালন করছে সেনাবাহিনী। মাইশা নিহত হওয়ার ঘটনায় আজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. সূচিতা শারমিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যে দাবিগুলো উত্থাপন করেছেন তার ৪৮ ভাগ সমাধানের পথে। বাকি দাবিগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। এরপর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
দুর্ঘটনার ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুয়াকাটা থেকে বরিশালের উদ্দেশে বেপরোয়া গতিতে আসছিল নারায়ণগঞ্জ ট্রাভেলস পরিবহনের একটি বাস। এ সময় হাত উঁচিয়ে সড়ক পার হচ্ছিল শিক্ষার্থী মাইশা। কিন্তু বেপরোয়া গতির বাসটি তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে দপদপিয়া সেতুর টোলঘর এলাকায় গিয়ে বাসটি আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নিয়ে আসেন শিক্ষার্থীরা। বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আনার পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর করে পরে একপর্যায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।