নিজস্ব প্রতিবেদক :: ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের কাজ শিঘ্রই শুরু হবে : সেতু উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খনিজ সম্পদ ও সেতু উপদেষ্টা মো. ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ কাজ শিগগিরই শুরু হবে। এটি নির্মিত হলে ভোলা জেলার ২০ লাখ মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। জাপানের আর্থিক সহায়তা নিয়ে এ সেতুটি নির্মাণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য খুব শিগগিরই জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠক হবে।ভোলায় ইলিশা-২ গ্যাস কূপ, শাহবাজপুর গ্যাস ফিল্ড, বাপেক্স ও ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে গতকাল শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে ভোলা সার্কিট হাউজে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকদের সাথে মতবিনিময় শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা একথা বলেন। মতবিনিময় সভায় ভোলা-বরিশাল সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি, ভোলা ডেভেলপমেন্ট ফোরাম বিডিএফ’র সদস্যদের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি এ আশ্বাস দেন। সংগঠনগুলো এ সংক্রান্ত বিষয়ে উপদেষ্টাকে পৃথক পৃথক স্মারকলিপি প্রদান করে।

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণকাজ অত্যন্ত ব্যয় বহুল। তবে কাটছাঁট করে এটির ব্যয় কমিয়ে হলেও একটি মাল্টিপল সেতু নির্মাণ করার কাজ চলছে। এ সেতু নির্মাণে সরকারের আগ্রহ রয়েছে। এটা নির্মাণ হলে ভোলা থেকে গ্যাস ও বিদ্যুৎ নেয়া যাবে। ভোলার সাথে সারাদেশের সংযোগ স্থাপন হবে এবং আধুনিক ইন্টারনেট সুবিধা পাবে জেলাবাসী। ইতিমধ্যে এ সেতু নির্মাণের জন্য জাপানের একটি কোম্পানির সাথে আলোচনা চলছে। আমরা আশা করি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোলা-বরিশাল সেতুর কাজ শুরু করা হবে।’

এদিকে শুক্রবার বিকেলে জেলা শহরে ‘ভোলার গ্যাস আগে ভোলায় তার পরে অন্যত্র’ দেয়ার দাবিতে পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থা নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ওই দাবি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, গৃহাস্থলীতে গ্যাস সংযোগ না দেয়ার সিদ্ধান্তটি জাতীয়। পুনরায় আবাসিক সংযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত হলে ভোলাসহ সারাদেশেই এ সংযোগ দেয়া হবে। এ সময় তিনি ভোলার বিসিক শিল্পনগরীসহ যে কোনো শিল্পকারখানায় গ্যাস সংযোগ দিতে এখানকার সুন্দরবন গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব এসএম মঈন আহমেদ, পেট্টোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান, ভোলা ডেভেলপমেন্ট ফোরামের নেতা মাওলানা ওবায়েদ বিন মোস্তফা, মীর মোশারেফ অমি ও রাজীব হায়দারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।