নিজস্ব প্রতিবেদক :: মানুষের ওপর বিভিন্ন কারণে বদনজর হয়ে থাকে। বদনজর শুধু মানুষের পক্ষ থেকে হয় এমনটি নয়, বরং বদজিন থেকেও বদনজর হয়ে থাকে।
মানুষের কুদৃষ্টিই মূলত বদনজর। এতে বেশি আক্রান্ত হয় শিশুরা। তবে বড়রাও এ থেকে মুক্ত নয়। তাই সবার উচিত বদনজর থেকে বাঁচতে কোরআনি আমল ও দোয়া পড়া। আর তাহলো-
বদনজরের কোরআনি আমল
বদনজর এড়াতে নিয়মিত কোরআনি এ আমলগুলো করা যেতে পারে। নিয়মিত কোরআনি আমলে আল্লাহ তাআলা বদনজর থেকে মুক্ত করবেন। আর তাহলো-
* সুরা ফাতিহা পড়া
* আয়াতুল কুরসি পড়া (সুরা বাকারা, আয়াত ২৫৫)
* সুরা বাকারার শেষের দুই আয়াত (২৮৫ ও ২৮৬)
* সুরা ইখলাস পড়া
* সুরা ফালাক্ব পড়া এবং
* সুরা নাস পড়া।
বদনজর থেকে বাঁচার দোয়া
বদনজরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ঝাড়ফুঁক দেওয়া। বদনজরে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য ঝাড়ফুঁকের সময় এ দোয়া পড়া-
بِسْمِ اللهِ أرْقِيْكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيْكَ وَمِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أوْ عَيْنٍ حاَسِدٍ اللهُ يَشْفِيْكَ بِسْمِ اللهِ أرْقِيْكَ
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি আরক্বিকা মিং কুল্লি শাইয়িন ইয়ুজিকা ওয়া মিন সাররি কুল্লি নাফসিন আও আইনিন হাসাদিল্লাহু ইয়াশফিকা বিসমিল্লাহি আরক্বিকা।
অর্থ : ‘আল্লাহর নামে কষ্ট দানকারীর সব অনিষ্টতা থেকে তোমাকে ঝাড়ফুঁক করছি। হিংসুক ব্যক্তির কুদৃষ্টির অনিষ্টতা থেকে আল্লাহর নামে তোমাকে ঝাড়ফুঁক করছি। আল্লাহ তোমাকে আরোগ্য দান করতে তারই নামে ঝাড়ফুঁক করছি।’ (বুখারি ও মুসলিম)
أعُوذُ بِكَلِماَتِ اللهِ التاَّمَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطاَنٍ وَهاَمَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ
উচ্চারণ : আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন কুল্লি শায়ত্বানিন ওয়া হাম্মাতিন ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লিআম্মাতিন।’
অর্থ : ‘আল্লাহর পরিপূর্ণ কালামসমূহের মাধ্যমে শয়তানের সব আক্রমণ থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। বিষধর প্রাণির ও বদনজরকারীর অনিষ্টতা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।’ (বুখারি)
بِسْمِ اللهِ يُبْرِيْكَ ومِنْ كُلِّ داَءٍ يَشْفِيْكَ، ومِنْ شَرِّ حاِسِدٍ إذاَ حَسَدَ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ ذِيْ عَيْنٍ
উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লাহি ইউবরিকা ওয়া মিন কুল্লি দাঈন ইয়াশফিকা, ওয়া মিন শাররি হাসাদিন ইজা হাসাদা, ওয়া মিন শাররি কুল্লি জি আইনিন।’
অর্থ : ‘আল্লাহর নামে শুরু করছি, তিনি তোমাকে মুক্ত করুন, প্রত্যেক অসুখ থেকে আরোগ্য দান করুন, প্রত্যেক হিংসুকের হিংসা থেকে এবং প্রত্যেক বদনজরের অনিষ্ট থেকে (মুক্ত করুন)।’ (মুসলিম)