নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১১ নং ভরপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান খান খোকনসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চাঁদাবাজি মামলা করেছেন ভরপাশা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বিএনপির সদস্য সচিব মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম সিকদার (৬৫)।
আদালত সুত্রে জানা যায়, বিএনপির ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য সচিব মোঃ ফজলুর রহমান শিকদারের ছেলে নুরুল ইসলাম সিকদারের (৬৫) দুধলমৌ দাদুরহাট এলাকার নিজ জমিতে ব্যাবসা করার উদ্দেশ্যে টিনসেট দোকান ঘর করার জন্য ইট, বালু, সিমেন্ট রড এনে জমা করে নির্মাণ করার প্রস্তুতি নেন। এসময় উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও ভরপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মো: আশরাফুজ্জামান খোকন ও তার বড় ভাই আসাদুজ্জামান খান হিরু ৫ লক্ষ্য টাকা চাদা দাবী করেন। চাঁদা না দিলে দোকান ঘর নির্মাণ করতে দিবেনা বলে হুমকি দিয়ে চলে যান। ২০২২ সালের ২৪ শে আগষ্ট বুধবার খোকন ও তার ভাই আসাদুজ্জামান হিরুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দলীয় ১৬-১৭ জন লোক দেশীয় অস্ত্র রামদা চাপাতি, লাঠিসোটা নিয়ে নুরুল ইসলামের বসত ঘরে প্রবেশ করে তাদের দাবীকৃত ৫ লক্ষ টাকা চায়। নুরুল ইসলাম জীবননাশের ভয়ে ২ লক্ষ্য টাকা দেন। তখন চেয়ারম্যান খোকন ও তার ভাই হুমকি দিয়ে বলেন বাকি ৩ লক্ষ্য টাকা না দিলে দোকান নির্মাণ করতে দিবেনা বলে বসত ঘর থেকে চলে যান। পরে ২৭ শে আগষ্ট শনিবার সকাল ৯টায় দোকানের নির্মাণ কাজ শুরু করায় সংবাদ পেয়ে দুপুর ১২ টার দিকে আশরাফুজ্জামান খোকন ও তার ভাই আসাদুজ্জামান হিরুসহ দলীয় ক্যাডার বাহিনী হাতে দেশীয় রামদা, চাপাতি, কুড়াল জমিতে প্রবেশ করে নির্মাণ কাজের বন্ধ করে দেয়। তখন নুরুল ইসলাম বাঁধা দিতে চাইলে তাকে ও নির্মাণ শ্রমিকদের মারধর করে এবং বলে বাকি ৩ লক্ষ্য টাকা না দিলে নির্মাণ করতে দিবেনা এমনকি মেরে ফেলার ও হুমকি দেয় তারা। এবিষয়ে ভয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলেও মামলা নেওয়া হয়নি।
গত ৫ ই আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে সরকার পতন হলে কিছুটা সস্তি ফিরে পেলেও এখনো তারা শান্তিপ্রিয়ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাই গত ১৪ ই নভেম্বর নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে বরিশাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে ১৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলায় আসামীরা হলেন- ভরপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান খোকন, তার ভাই আসাদুজ্জামান খান হিরু, মাসুদ খান, মো শাহিন খান, জুয়েল মাহমুদ, লিটু হাওলাদার, তারেক হাওলাদার, মিলন হাওলাদার, রিয়াজ হাওলাদার, কোভিদ হাওলাদার, লিটন গাজী, আনোয়ারুল কবির শরীফ, কাউসার খান, রনি খান, গাজী তোফায়েল জামাল গাজী, রনি হাওলাদার, মুনতাসির আহমেদ প্রিয় এবং শাহিন খানসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন।