নিজস্ব প্রতিবেদক :: বর্ণাঢ্য আলোকসজ্জায় সজ্জিত হয়েছে বরিশালের কীর্তনখোলা নদী তীরবর্তী চরমোনাই এলাকা। অনেক দূর থেকে সেই আলো স্বাগত জানাচ্ছে মাহফিলে আগত মুসল্লীদের। বিশেষ করে জাহজ ও লঞ্চের যাত্রীদের জন্য এ এক অন্যরকম হাতছানি। যেসব লঞ্চ চরমোনাই ঘাটে ভিড়ছে না, তাদের যাত্রীরাও উঁকি দিয়ে দেখছেন এই আলোকসজ্জা। নদী তীরবর্তী এলাকায় বিশাল ময়দানে মুসলমানদের আধ্যাত্বিক মহা মিলনমেলার আয়োজন করা হয়েছে। এখানেই আজ ২৭ নভেম্বর বুধবার থেকে শুরু হবে ঐতিহাসিক চরমোনাইর বার্ষিক অগ্রহায়ণ মাহফিল। এদিন বাদ জোহর আমীরুল মুজাহিদীন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই-এর উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে শুরু হবে এই ঐতিহাসিক যাত্রা। তিন দিনব্যাপী এই মাহফিলের শেষদিন শুক্রবার হওয়ায় এ দিনে দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে। বুধবার বাদ জোহর শুরু হওয়া এ ঐতিহাসিক আধ্যাত্বিক মিলন মেলা ৩০ নভেম্বর সকাল ৮টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত হবে বলে জানিয়েছেন মাহফিলের মিডিয়া উপকমিটির সদস্য এম শরিয়তুল্লাহ।
মাহফিলের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবক সানাউল্লাহ সহ কয়েকজন সেচ্ছাসেবকের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঐতিহাসিক চরমোনাই বার্ষিক মাহফিলে ৭টি মূল বয়ানের মধ্যে হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই ৫ টি এবং আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই ২টি বয়ান করবেন। এছাড়াও চরমোনাই কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী সহ দেশের শীর্ষস্থানীয় দরবার সমূহের উল্লেখযোগ্য বক্তা এবং শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কিরামগণ বয়ান পেশ করবেন।
তারা জানান, মাহফিল উপলক্ষে সারাদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ সড়ক ও নৌপথে আসতে শুরু করেছে। অগ্রহায়ণ মাহফিলের জন্য নির্ধারিত দুইটি মাঠেই সামিয়ানা টানানো শেষ। একইসাথে লাইট, মাইক ও মাহফিলের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের টেলিফোন সংযোগ স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। লাখো মুসল্লিদের শৃংখলার জন্য হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবকের বিশাল টিম এবং নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।
এছাড়াও মাহফিলে আগত কোনো মুসল্লি অসুস্থ হলে তাদের চিকিৎসার জন্য রয়েছে ১০৯ শয্যা বিশিষ্ট মাহফিল হাসপাতাল। এখানে দেশের খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দ চিকিৎসা দেবেন।
উল্লেখ্য : প্রতি বছর বাংলা মাস হিসেব করে চরমোনাইতে অগ্রহায়ণ ও ফাল্গুন মাসে দুটি মাহফিল হয়। তন্মধ্যে অগ্রহায়ণ কিছুটা ছোট পরিসরে এবং ফাল্গুন মাসে মাহফিল হয় বৃহৎ পরিসরে।