নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে পুলিশী নজর*দারীর
মধ্যেও মাদ*কের বিস্তার অব্যাহত।
নানা ধরনের পুলিশী কার্যক্রমের মধ্যেও বরিশাল সহ আশপাশের এলাকায় মাদক পরিবহন, বিপণন ও এর অপব্যবহার কাঙ্খিত মাত্রায় বন্ধ করা যায়নি। দাম বাড়ায় ফেন্সিডিলের থাবা কিছুটা সীমিত হলেও সম্প্রতি গাঁজা ও ইয়াবার প্রসার ঘটছে। বরিশাল অঞ্চলের প্রতিটি শহর ছাড়িয়ে সুদূর গ্রামগঞ্জেও এখন মাদকের নেশায় ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ। বরিশাল মহানগর, জেলা ও রেঞ্জ পুলিশের শীর্ষ পর্যায় থেকে বার বারই মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’এর কথা বলা হচ্ছে। এরপরেও প্রায় প্রতিদিনই বরিশাল মহানগরী সহ এ অঞ্চলে মাদক সহ বিক্রেতারা আটক হচ্ছে। কোনভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছেনা মাদকের কারবার। সচেতন মহলের অভিযোগ, মাদকের মাঠ পর্যায়ের কিছু বাহক ধরা পড়লেও এর মূলে কখনোই হাত দিতে পারছে না আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ফলে মূল উৎপাটন হচ্ছে না।পুলিশের এক হিসেবে গত ৩ মাসেই বরিশাল মহানগর ও রেঞ্জ পর্যায়ে পুলিশের হাতে পৌনে ৪শ মাদকের চালান আটকের কথা বলা হয়েছে। এসব ঘটনায় প্রায় সাড়ে ৬শ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের সহ ৪৩৮ জনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। এসব ঘটনায় বিপুল পরিমান গাঁজা,ইয়াবা ও ফেন্সিডিল সহ দেশী-বিদেশী মদ আটক করা হয়। এরমধ্যে বরিশাল মহানগর পুলিশই প্রায় সাড়ে ৬ হাজার পিস ইয়াবা, ৩১ কেজি গাঁজা ও সাড়ে ৪শ বোতল ফেন্সিডিল সহ বিক্রেতাদের আটক করে।
এসব ঘটনায় ২৮২টি মামলা হয়েছে। ৪২৯ আসামীর মধ্যে ৩৭৫ জনকে গ্রেপ্তারের কথা বলেছে বরিশাল রেঞ্জ পুলিশ। গত সপ্তাহেই বরিশালের গৌরনদী থানা পুলিশ অভিনব কায়দায় পাচারের সময় এক চালানে ১৪ কেজি গাঁজা আটক করে।
মূলত যশোর ও সাতক্ষীরা সহ সন্নিহিত সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো থেকে সড়ক পথে বরিশাল অঞ্চলে মাদকের চালান আসছে। ইয়াবা আসছে টেকনাফ সহ সন্নিহিত এলাকাগুলো থেকে নৌ-পথে। ঢাকা ও এর আশপাশ থেকে সড়ক ও নৌ-পথে দেশী-বিদেশী মদের চালান আসছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।
পুলিশ সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বরিশালের সাথে সংযুক্ত এসব সড়ক ও নৌ-পথে নজরদারীর মাধ্যমে কিছু মাদকের চালান আটক করলেও তা সন্তোষজনক না। সূত্র বলছে, মাদক পাচারের সাথে সংশ্লিষ্ট বাহকরা ধরা পড়লেও এখনো শেকড় উপড়ে ফেলার মত কোন উদ্যোগ নেই।
এ ব্যাপারে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ মোর্শেদ আলম বলেন, মাদকের ব্যাপারে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। প্রতিটি থানাকে এ ব্যাপারে সার্বক্ষনিকভাবে তাগিদ ও দিক নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। মাদক পাচার ও পরিবহন রোধে আগামীতে আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শফিকুর রহমান বলেন, জনবল সংকটের মধ্যেও মাদকের বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করছি’। অদূর ভবিষ্যতে এক্ষেত্রে আরো সাফল্য আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।