নিজস্ব প্রতিবেদক :: নানা অভিযোগে গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর প্রভাষক পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে রশিদ নাহিয়ান ও আইন বিভাগের প্রভাষক মঞ্জুরুল হাসান নাফিকে। বিভিন্ন পত্র -পত্রিকায় নানা অপকর্মের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হলে গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। রশিদ নাহিয়ান ও মঞ্জুরুল আহসান নাফি গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ সৈয়দা আরজুমান বানু নার্গিস এর সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অব্যাহতির আদেশ প্রদান করেন। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় রশিদ নাহিয়ান গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ বরিশাল এর আইন বিভাগের একজন চুক্তিভিত্তিক প্রভাষক ছিলেন। কিন্তু ০৫ আগস্টের পর ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ভিসিকে বাধ্য করে নিজের অস্থায়ী নিয়োগকে স্থায়ী করান নাহিয়ান। যা ২৬ ডিসেম্বর ট্রাষ্টি বোর্ডের রেজুলেশন মোতাবেক সর্বসম্মতিক্রমে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা কালীন সময়ে বিভিন্ন শৃংঙ্খলা পরিপন্থি কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ভিসিকে অবৈধ ভাবে চাপ প্রয়োগ করে চাকুরী এ্যাডহক করা, বেতন বৃদ্ধি সহ অর্থ আত্মসাত, ছাত্র/ছাত্রীদেরকে অনৈতিক সুযোগ সুবিধা প্রদান, ভিসিকে জোর পূর্বক পদত্যাগের জন্য, শিক্ষক/ছাত্র দলাদলীসহ বিভিন্ন কু-পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন। এসকল অভিযোগের বিষয়ে জাতীয় পত্রিকা দৈনিক যুগান্তর, বরিশালের উল্লেখযোগ্য পত্রিকা দৈনিক আজকের পরিবর্তন, দৈনিক বাংলাদেশ বাণী, দৈনিক আলোকিত বরিশাল, দৈনিক সুন্দরবনসহ বিভিন্ন অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদপ্রকাশিত হয়েছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করেছে।
এসকল প্রমানিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ এর শর্তানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাষ্টি বোর্ডের বোর্ড রেজুলেশন এর সর্বসম্মতিক্রমে রশিদ নাহিয়ান ও মঞ্জরুল হাসান নাফিকে পদ থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। আগামী মাসের ২৬ তারিখের পর থেকে তিনি গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির প্রভাষক পদে চাকরিতে আর থাকছেন না। তার কোন ধরনের কর্মকান্ডের দায়ভার গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বহন করবে না বলেও জানানো হয় এই বিজ্ঞপ্তিতে। এছাড়াও তাদের যাবতীয় অপরাধের বিরুদ্ধে সকল প্রকার আইনগত প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।