নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে দেড় হাজার করদাতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
আয়করের নথিতে তথ্য গরমিল করায় বরিশালে দেড় হাজার করদাতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এছাড়া যেসব করদাতা তথ্য গোপন করে রিটার্ন জমা দিয়েছেন তাদের চিহ্নিত করতে মাঠে নেমেছে রাজস্ব কর্মকর্তারা। তবে এর মধ্যেও বরিশালে আয়কর দাতার সংখ্যা বাড়ায় চলতি অর্থ বছরে ১ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের আশা এনবিআরের।
এদিকে ১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী আয়কর তথ্যসেবা।
কোনো ব্যক্তি বছরে সাড়ে ৩ লাখ টাকার ওপরে আয় করলেই রাষ্ট্রকে বাধ্যতামূলক নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে হয়। এটাকেই আয়কর বলে। আয়ের উৎস ও সম্পদের বিবরণী দাখিল করার বিধান রয়েছে আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ককর বিভাগে। সরকার সেই টাকা রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যয় করে।
করপ্রদানের পুরো প্রক্রিয়ায় করদাতার হয়রানি যাতে না হয়, নির্বিঘ্নে কর প্রদানে ১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে দেশব্যাপী আয়কর তথ্যসেবা মাস। বরিশালে শহরের বটতলার লাচিন ভবন প্রাঙ্গণে এক ছাতার নিচে করপ্রদানে পাওয়া যাবে সব সেবা।
বরিশালের উপ কর কমিশনার মো. নেফাউল ইসলাম সরকার জানান, করদাতাদের বেশির ভাগই সঠিক তথ্য দিলেও কেউ কেউ কর ফাঁকি দিতে মিথ্যাচারের আশ্রয় নেন। তথ্য গরমিলে বরিশালে গত ২ বছরে ১ হাজার ১২৩ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মামলা করেছে এনবিআর। আর তথ্য গোপনকারীদের চিহ্নিত করতেও কর্মকর্তারা তৎপর রয়েছে।
বরিশাল অঞ্চলের কর কমিশনার মো. সরোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, বরিশালে আয়কর দাতাদের সংখ্যা বাড়ায় ১ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে কাজ চলছে। আশা করা যাচ্ছে সে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হবে।
বর্তমানে বরিশালে নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা ৩ লাখ ৫৭ হাজার ১৪ জন। এছাড়া গত ১ বছরে নতুন করে করদাতা নিবন্ধিত হয়েছেন ৫২ হাজার ৯৭৮ জন।