নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৎস্য কর্মকর্তা ও প্রশাসনের সহযোগিতায় : মেঘনা নদীর বাগদা চিংড়ির রেণু পোনা খুলনায় পাচার।
সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভোলার তজুমদ্দিন, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলা থেকে বাগদা চিংড়ির রেণু পোনা খুলনায় পাচার হচ্ছে।
অবৈধ বিহুন্দী জাল দিয়ে মেঘনা নদী থেকে এসব বাগদা চিংড়ির রেণু পোনা সংগ্রহ করেন জেলেরা।
একটি চিংড়ির রেনু পোনা ধরার জন্য অন্য প্রজাতির নয় থেকে ১২টি রেনু পোনা ধ্বংস করা হচ্ছে। এরমধ্যে শত প্রজাতির মাছ ও বিভিন্ন প্রকারের জলজপ্রাণি প্রতিদিন ধ্বংস হচ্ছে। যে কারনে মেঘনা, তেঁতুলিয়াসহ দখিনের নদীতে অন্য প্রজাতির মাছ ও জলজপ্রাণির ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণেই সরকার বাগদা ও গলদা প্রজাতির রেনু পোনা আহরণ ও সংরক্ষণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
জেলেদের কাছ থেকে প্রতিপিচ বাগদা চিংড়ির রেণু পোনা ৫০ পয়সা করে ক্রয় করেন আড়তদার। আড়তদার ওই উপজেলা গুলো থেকে প্রতিদিন প্রায় শত-শত ব্রেল (ড্রাম) বাগদা চিংড়ির রেণু পোনা খুলনায় পাচার করেন। প্রতি পিচ বাগদা চিংড়ির রেণু পোনা ১ টাকায় বিক্রি করা হয় খুলনায়। প্রতি ড্রামে ৫০ হাজার বাগদা চিংড়ির রেণু পোনা দেওয়া হয়। প্রতি ড্রাম বাগদা চিংড়ির রেণু পোনা ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন খুলনায়। প্রতি ড্রাম বাগদা চিংড়ির রেণু পোনা থেকে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় করেন আড়তদার। প্রতিদিন রাতে ঘাট গুলো দিয়ে ট্রলার যোগে শত-শত ড্রাম বাগদা চিংড়ির রেণু পোনা খুলনায় পাচার হয়। ভোলার লালমোহন উপজেলার তেতুলীয়া নদীর নাজিরপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন বালুর মাঠ ও গজারীয়া খাল নামক লঞ্চঘাট এলাকা দিয়ে ট্রলার যোগে শত-শত বাগদা চিংড়ির রেণু পোনার ড্রাম তেতুলিয়া নদী পারাপার হয়ে পটুয়াখালী জেলার কালাইয়া ও বাসবাড়িয়া লঞ্চ ঘাট দিয়ে ওঠে ট্রাকে। সেখান থেকে ট্রাক যোগে এসব রেণু পোনার ড্রাম খুলনায় পাচার হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মেঘনা নদী থেকে অবৈধ বিহুন্দি জালে গলদা ও বাগদা চিংড়ির রেণু পোনা ধরা ও পাচার করা নিষিদ্ধ হওয়ায় প্রশাসনকে না জানিয়ে প্রতি ড্রাম বাগদা চিংড়ির রেণু পোনা থেকে প্রশাসনের নামে চাঁদা তোলেন একটি চক্র। এসব চাঁদার টাকা ওই চক্র নিজেরাই ভাগবাটোয়ারা করে নিচ্ছেন বলে জানাযায়। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে বাগদা চিংড়ির রেণু পোনা পাচার করছেন চক্রটি।
উল্লেখ্য, গত একযুগ ধরে খুলনার টুলু নামের একজন রেনু পোনা পাচারকারী বীরদর্পে তার এই অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। মৎস্য কর্মকর্তা, প্রশাসন, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিকদের ম্যানেজ করে তার এই অপকর্ম ঠেকানোর কেউ নেই। ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগিদের সাথে সক্ষতা গড়ে তোলে টুলু গত ১৭ বছর এই অবৈধ কাজের সাথে জড়িত ছিলো। ফ্যাসিস্ট সরকার ও তার সহযোগিরা পালিয়ে গেলেও টুলুর এই অবৈধ কাজ এখনো চলছে।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোনটি রিসিভ করেননি।