নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে জামাতাকে অপ*হরণের অভি*যোগ শ্বশুরের বি*রু*দ্ধে : ৪ লাখ টাকা মু*ক্তিপ*ন দা*বি।
বরিশালের মুলাদীতে অপহরণের ৩ দিন পরেও উদ্ধার হয়নি ব্যবসায়ী দলিল উদ্দিন হাওলাদার। গতকাল শনিবার বিকেল পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ পায়নি পরিবারের সদস্যরা। মোবাইল ফোন বন্ধ এবং প্রশাসনের সহযোগিতা না পাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। গত ১২ মার্চ রাত ৯টার দিকে উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের টুমচর এলাকা থেকে দলিল উদ্দিন হাওলাদারকে অপহরণ করা হয় বলে জানান তার স্ত্রী পাখি বেগম। অপরদিকে এঘটনায় দলিল উদ্দিন হাওলাদারের শ্বশুর আইউব আলী আকন জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। জামাতাকে ফেরত দিতে আইউব আলী আকন ৪ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন অপহৃত ব্যবসায়ীর মেয়ে লিজা আক্তার ইরা। এঘটনায় গত শুক্রবার বিকেলে ব্যবসায়ীর স্ত্রী মুলাদী থানায় একটি অপহরণ মামলা করেছেন।
লিজা আক্তার ইরা বলেন, ‘জমি নিয়ে আমার বাবার সঙ্গে আমার নানা আইউব আলী আকন ও প্রতিবেশী কাঞ্চন হাওলাদারের বিরোধ রয়েছে। বিরোধের জেরধরে গত ১২ মার্চ রাতে বাটামারার জাগরনী পুলিশ ক্যাম্প থেকে ফেরার পথে আমার মাকে মারধর করে বাবাকে অপহরণ করে প্রতিপক্ষরা। অপহরণের সঙ্গে আমার নানা ও মামা জড়িত রয়েছে। শনিবার সকালে নানা আইউব আলী আকনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেছেন ‘আমার বাবা আসমানের নীচে ও জমিনের উপরে আছেন। পরে ৪লাখ টাকা দিলে বাবাকে ফেরৎ দেবেন বলে জানিয়েছেন। টাকা ও জমি দিতে হলেও আমার বাবাকে জীবিত ফেরৎ চাই।’
ব্যবসায়ীর স্ত্রী পাখি বেগম জানান, তার বাবা আইউব আলী আকন ১৯৯৯ সালে দলিল উদ্দিন হাওলাদারের কাছে টুমচর এলাকার ৪১ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। তিনি ওই একই জমি ২০২১ সালে ওই গ্রামের কাঞ্চন হাওলাদারের কাছে বিক্রি করেন। একই জমি দুইজনের কাছে বিক্রি করায় বিরোধের সৃষ্টি হয়। ওই জমির কাগজপত্র দেখানোর জন্য বুধবার রাতে তারা পুলিশ ফাঁড়িতে যান। সেখানে কাঞ্চন হাওলাদার ও তার লোকজনের সঙ্গে দলিল উদ্দিনের কথার কাটাকাটি হয়। ওই রাতেই পুলিশ ক্যাম্প থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাত ৯টার দিকে টুমচর একটি বিলের মধ্যে কাঞ্চন হাওলাদার ও তার লোকজন হামলা চালায়। তারা মারধর করে দলিল উদ্দিন হাওলাদারকে তুলে নিয়ে যান।
মুলাদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মমিন উদ্দিন জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দলিল উদ্দিনকে উদ্ধার এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।