বিনোদন ডেস্ক :: ইসলাম গ্রহণ করেছেন জাপানিজ প্রাপ্তবয়স্ক ছবির অভিনেত্রী, নিয়মিত রাখছেন রোজা
অন্ধকার জগতের মোহ ত্যাগ করে আলোকিত জীবনের খোঁজে ইসলাম গ্রহন করেছেন বহুল জনপ্রিয় পর্ন তারকা কায়ে আসাকুরা যিনি রে লিল ব্ল্যাক নামেই সমধিক পরিচিত। সম্প্রতি মালয়েশিয়া ভ্রমণ করে সেখানের একটি মসজিদে ইসলাম গ্রহণ করে তিনি। অন্ধকার বিনোদন জগতের ক্যারিয়ার ছেড়ে তিনি এখন ধর্ম ও আত্মিক প্রশান্তির পথে এগিয়ে গেছেন। নিজের সাফল্য ও আর্থিক স্থিতিশীলতা থাকা সত্ত্বেও, রে সবসময় এক ধরনের অভ্যন্তরীণ শূন্যতা অনুভব করতেন। জীবনের প্রকৃত অর্থ খোঁজার চেষ্টা করলেও কখনো ভাবেননি যে ধর্মই তার উত্তর হতে পারে।
অবকাশ যাপনের জন্য ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে তিনি মালয়েশিয়া ভ্রমণে যান। সেখানে এক মুসলিম বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে তার জীবনে নতুন এক দিগন্ত উন্মোচিত হয়। পুত্রজায়ার একটি মসজিদে প্রবেশের মুহূর্তটি তার হৃদয়ে গভীরভাবে দাগ কাটে এবং ইসলাম সম্পর্কে জানার আগ্রহ জন্মায়।
পরবর্তীতে তিনি জাপানে ফিরে আসার পর ইসলাম নিয়ে গবেষণা শুরু করেন, কোরআনের অনুবাদ পড়েন এবং ইসলামিক স্কলারদের বক্তব্য শোনেন। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে, টোকিওর একটি ইসলামিক সেন্টারে যাওয়ার সময় হিজাব পরিহিত একটি ভিডিও শেয়ার করলে এটি দ্রুত ভাইরাল হয় এবং ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
এদিকে তার ইসলাম গ্রহণের সিদ্ধান্তকে অনেকে সমর্থন করলেও, অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেন, বিশেষ করে তার পূর্ববর্তী ক্যারিয়ারের কারণে। কিন্তু সমালোচনার মুখেও তিনি থাকেন অবিচল এবং স্পষ্ট জানান যে তার বিশ্বাস সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়, অন্যদের এটি নিয়ে বিচার করার অধিকার নেই।
পবিত্র মাহে রমজান শুরুর আগে থেকেই রে লিল ব্ল্যাক তার পূর্বের সমস্ত আপত্তিকর কনটেন্ট স্যোশাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে ফেলেছেন।
এ ছাড়াও তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, তার নাম ব্যবহার করে প্রকাশিত কোনো নতুন প্রাপ্তবয়স্ক ভিডিও প্রকাশ পেলে জানবেন তা ইসলাম গ্রহণের আগের সময়ের রেকর্ডিং।
এছাড়া রমজানের প্রথম দিন ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘আমি আশা করি, আমরা সবাই এই পুরো মাস আল্লাহর কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করব এবং আমাদের প্রিয়জন, পরিবার, ভাই ও বোনদের সঙ্গে ভালো সময় কাটাব। আমি খুবই উচ্ছ্বসিত। আল্লাহ আমাকে এবং তোমাদের সবাইকে এই মাস সফলভাবে পার করার শক্তি দান করুন। রমজান মোবারক।’
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শুরুর দিকে, তিনি তার পারিবারিক বাড়িতে নামাজের জন্য একটি বিশেষ স্থান গড়ে তোলার ছবি শেয়ার করেন, যা তার নতুন জীবনের প্রতি অঙ্গীকারের প্রমাণ বহন করে। বর্তমানে তিনি নিজের স্যোশাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ব্যবহার করে অন্যদের অনুপ্রাণিত করছেন, তিনি বুঝানোর চেষ্টা করছেন যে প্রকৃত আত্মিক পরিবর্তন যে কারো জীবনেই আসতে পারে।
তার এই যাত্রা বিশ্বাস ও আত্মার পরিবর্তনের শক্তির প্রতীক, যা প্রমাণ করে যে অতীত যেমনই হোক না কেন, শান্তি ও জীবনের সত্যিকারের উদ্দেশ্যের পথে ফিরে আসার দরজা সবসময় খোলা থাকে।