নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল সদর উপজেলার কর্ণকাঠী এলাকায় স্ত্রীকে হত্যা পর এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দুপুরে এ দম্পতির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, বাবা-মায়ের অত্যাচার থেকে স্ত্রীকে রক্ষায় তাকে হত্যা করেছে স্বামী। এরপর তিনি নিজে আত্মহত্যা করেন।
নিহতরা হলেন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক রাহাত ও তার স্ত্রী লামিয়া। এক বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।
পারিবারিক সূত্র থেকে জানা গেছে, রাহাত ও লামিয়ার মধ্যে কোনো ধরণের দ্বন্দ্ব ছিল না। তবে শ্বশুড়-শাশুড়ির সঙ্গে লামিয়ার দ্বন্দ্ব লেগেই থাকতো। এ কারণে প্রায়শ লামিয়াকে মারধর করতো শ্বশুড়-শাশুড়ি। এ বিষয়ে সালিশি বৈঠক হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। শ্বশুড়-শাশুড়ি কারণে-অকারণে তার ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে রাহাতও তাদের কিছু বলতে পারতো না।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় রোববার রাতে দরজা আটকিয়ে রাহাত ও লামিয়া শুয়ে যান। সকালে তাদের ডাকাডাকি করলেও তারা দরজা খুলছিল না। একপর্যায়ে দরজা ভাঙলে বিছানার ওপর লামিয়া এবং ফ্যানের সঙ্গে রাহাতের ঝুলন্ত লাশ দেখে তারা। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে তারা এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পারিবারিক বিরোধীদের জেরেই এমনটি হয়েছে। তবে তদন্ত ছাড়া নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তের ভিত্তিতে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।