নিজস্ব প্রতিবেদক :: মার্চ মাসের বেতন ও বৈশাখী ভাতা পেতে শুরু করেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা
বেসরকারি স্কুল-কলেজের পৌনে চার লাখ শিক্ষক-কর্মচারী মার্চ মাসের বেতন ও বৈশাখী ভাতা পেতে শুরু করেছেন। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টার পর তারা বেতন-ভাতার মেসেজ পেতে শুরু করেছেন।
বেতন-ভাতার টাকা ব্যাংকে পাওয়ার বিষয়টি বুধবার সন্ধ্যায় একাধিক শিক্ষক সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার দুপুরে ইএমআইএস সেলের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট খন্দকার আজিজুর রহমান জানান, ‘মার্চ মাসে ৩ লাখ ৭৬ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন ছাড় হয়েছে। আজ বিকেল ৫টা থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা যাওয়া শুরু হবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে সবার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ হবে।’
মাউশির ইএমআইএস সেল সূত্রে জানা গেছে, ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৯১ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে কলেজের ৮৬ হাজার ৭৭৯ জন এবং স্কুলের রয়েছেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ৩১২ জন।বৈশাখী ভাতার ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৫১৪ জনের মধ্যে স্কুলের রয়েছে ২ লাখ ৮৮ হাজার ৮৯৩ ও কলেজের ৮৬ হাজার ৬২১ জন শিক্ষক-কর্মচারী।
জানা গেছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পান। তবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে ছাড় হলেও তা রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি ব্যাংকের মাধ্যমে ‘অ্যানালগ’ পদ্ধতিতে ছাড় হয়। এই অর্থ তুলতে শিক্ষকদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হতো।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ইএফটিতে বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওর বেতন-ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অক্টোবর মাসের এমপিও ইএফটিতে ছাড় হয়। পরবর্তী সময়ে গত ১ জানুয়ারি ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা পেয়েছেন।
দ্বিতীয় ধাপে ৬৭ হাজার, তৃতীয় ধাপে ৮৪ হাজার এবং চতুর্থ ধাপে ৮ হাজার ২০০ এর অধিক শিক্ষক-কর্মচারী ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পেয়েছেন। তবে তারাই কেউ এখনো মার্চ মাসের বেতন পাননি। আজ বুধবার এসব শিক্ষক-কর্মচারী মার্চের বেতন ও বৈশাখী ভাতার টাকা পেতে শুরু করেছেন।