নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে কাচা বাজারের স্টল ঘর উদ্ধোধনে ব্যবসায়িদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ।
বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদে জগন্নাথকাঠি বাজারে নব নির্মিত ষ্টল ঘরের উদ্ধোধনে ইউএনও,এসিল্যান্ড সহ পাঁচশত লোকের আপ্যায়নের জন্য ব্যবসায়িদের বসার ব্যবস্থা করে দেয়ার কথা বলে এক হাজার টাকা করে চাঁদা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাজারের আহ্বায়ক কমিটি ব্যবসায়িদের কাছে স্টল ঘরে বসার ব্যবস্থা করে দেয়ার নামে নিজেদের ছাপানো সদস্য ফরম বিক্রির মাধ্যমে ওই চাঁদার টাকা তুলেছেন। ব্যবসায়িদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে চাঁদা নিয়ে তাদের বসার ব্যবস্থা না করে দেয়ায় বাজারের ব্যবসায়ীরা স্বরূপকাঠি পৌরসভার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
তবে, অভিযোগ অস্বীকার করে বাজার কমিটির আহ্বায়ক কাজী আনিসুজ্জামান বলেন, বাজারের নবনির্মিত দু’টি স্টলঘর উদ্ধোধনে ইউএনও,এসিল্যান্ড সহ প্রায় পাঁচশত লোকের এ্যারেজমেন্ট করা হয়েছে। সেখানে জাঁকজমকভাবে স্টল উদ্বোধন করা হবে। তাদের আপ্যায়নের খরচের জন্য একহাজার কর টাকা নেয়া হয়েছে। তাছাড়া ওই টাকা দিয়ে স্টল ঘরের বিদ্যুতের মিটার, বাজারের ঘাটলা করা হবে।
বাজারে মো: এমাম হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, বাজারের নতুন স্টল ঘরে আমাদের বসার ব্যবস্থা করে দেয়ার কথা বলে কমিটি এক হাজার করে টাকা নিয়েছে। এভাবে বাজারের প্রায় একজনের কাছ থেকে এক হাজার করে টাকা নিয়েছে কমিটি। টাকা নেয়ার অনেকদিন অতিবাহিত হলেও আমাদের বসার ব্যবস্থা করছেনা। তাই আমরা স্বরূপকাঠি পৌরসভা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
আব্দুল হামিদ নামে অপর এক বৃদ্ধ ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, তিনি ওই স্বরূপকাঠি জগন্নাথকাঠি বাজারে ৫৪ বছর যাবত ব্যবসা করছেন। বাজারে নবনির্মিত স্টল করে আমাদের বসার ব্যবস্থা করে দেয়ার কথা বলে বাজার কমিটি এক হাজার করে টাকা নিয়েছে। টাকা নিয়েছে প্রায় এক মাস। এখনো আমাদের বসার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেনা। বাজার কমিটির আহ্বায়ক ও স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী আনিসুজ্জামান বলেন, বাজারের স্টল ঘর তুলতে অনেক বাধা আসছিল।
সব বাধা উপেক্ষা করে ঘর তৈরি হয়েছে। এখন সেই স্টল ঘরগুলো উদ্বোধনে ইউএনও,এসিল্যান্ড,ওসি সাহেব সহ পাঁচশত লোকের জন্য একটু আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও স্টল ঘরের জন্য খালের পাড়ে ঘাটলা নির্মাণ,বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কেনা হবে। তাই ব্যবসায়িদের কাছ থেকে এক হাজার করে টাকা নেয়া হয়েছে। একটা ভাল কাজ করতে গিয়ে এখন বিএনপি ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের কিছু লোকের ইন্দনে সমস্য সৃষ্টি হচ্ছে। স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির সদস্য সচিব কাজী কামাল অভিযোগ করে বলেন, জগন্নাথকাটি নবনির্মিত স্টলের মালিক স্বরূপকাঠি পৌরসভা।
তাই স্টল ঘরে বসতে দেয়ার কথা বলে টাকা উঠানো এক প্রকার চাঁদাবাজির শামিল। বাজারের সাবেক কমিটির সভাপতি ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, জগন্নাথকাঠি বাজার একটি অবৈধ দখলদারের কবলে। অবৈধ দখলদারের কারণে বাজারের ব্যবসায়ীরা নির্যাতিত,নিস্পেসিত।
আমি এর থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। স্বরূপকাঠি পৌরসভার সচিব মো: সাইফুর রহমান খান মোবাইল ফোনে বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পৌরসভায় ব্যবসায়ীরা দিয়ে গেছেন। এই বলে তিনি ফোন কেটে দেন। স্বরূপকাঠি পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মো: জাহিদুল ইসলাম জানান, “এভাবে স্টল ঘরের ব্যবসায়িদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার কোনো বিধান নেই। বিষয়টি দেখব