নিউজ ডেস্ক :: আগামী ঈদ-উল-আজহায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মূল বেতনের ৫০% উৎসব ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এতদিন ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পেতেন তারা। তবে ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা পেয়ে আসা কর্মচারীদের ভাতা বৃদ্ধি কোন সিদ্ধান্ত না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী পরিষদ।
রবিবার রাত ৮ টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জুবায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এই দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা।
বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী পরিষদের মুখপাত্র জাফর আলী জানান, বিভিন্ন গণমাধ্যমে শুধু মাত্র শিক্ষকদের উৎসব বোনাস ২৫ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশে উন্নীত করা হচ্ছে এমন খবরে সারা বাংলাদেশের কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। বেতন স্কেল কম বিধায় ২০০৪ সালে তৎকালীন সরকার কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৫০ শতাংশ করেছিল। ২০২৫ সালে শিক্ষক ও কর্মচারীদের সংগঠন জোট বদ্ধ হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন করে। সেই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা গত ৫ মার্চ ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছিলেন শিক্ষক কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও বিনোদন ভাতা বাড়ানো হচ্ছে। সেই ঘোষণায় শিক্ষক কর্মচারীরা আন্দোলন স্থগিত করে। অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ শুধু শিক্ষকদের ভাতা বাড়ানোর কথা বলেনি। কর্মচারীদের ভাতাও বাড়বে বলেছিলেন। কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবনা অর্থ মন্ত্রণালয়ে দ্রত প্রেরণের আহবান জানানো হয় সচিব মহোদয়কে। সচিব মহোদয় কর্মচারীদের দাবি লিখিত আকারে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার পরার্মশ দেন। কর্মচারী নেতা বলেন আমরা দ্রতই লিখিত আকারে কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বৃদ্ধির আবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দিবো।