স্টাফ রিপোর্টার :: ফ্যাসিস্ট আ.লীগ সরকারের পতনের পর বরিশাল সদর উপজেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম মোল্লা (৫৫) গা ঢাকা দিলেও বিএনপির কিছু বিতর্কিত নেতাদের যোগ সাজসে নগরীতে প্রকাশ্যে ঘুরতে শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নে ২নং ওয়ার্ডের অনেক বাসিন্দার মনে প্রশ্নের দানা বেধে উঠেছে।

কেউ বলছেন, বরিশাল জেলা শ্রমিক লীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন নুরুল ইসলাম। বিগত ফ্যাসিস্ট আয় করা বিপুল পরিমাণের অর্থ থেকে স্থানীয় বিএনপির জ্যাক ম্যানেজ করে বর্তমানে এই শ্রমিক লীগ নেতা এলাকায় কুদরতি কেরামতি প্রর্দশনী করছেন। আ.লীগ আমলে চরকাউয়া বাসস্ট্যান্ড ও জমি নিয়ে এলাকার দ্বন্দ্ব থাকা বাসিন্দাদের পক্ষ-বিপক্ষ হয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়া সহ নানা প্রকাশ্যে নানা অপকর্ম করতেন শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম। একাধিক মানুষের জমি বায়না চুক্তি সহ অনেকের জমি জেরপূর্বক দখল করে মালিক সেজে বসে আছেন।

আবার কেউ বলছেন, বিএনপির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে ঘুরছে। তাই মামলা থাকার পরও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে ধরছে না।

নিশ্চিত করে এক সূত্র জানায়, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দায়েরকৃত মামলার আসামি শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম। গত ২৩/০৮/২০২৪ইং তারিখে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানায় এ মামলা দায়ের হয়। বাদী হলেন নগরীর উত্তর বগুড়া রোড ১ম গলির বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম রিপন (৩৫)। এ মামলার অনেক আসামি আত্মগোপনে থাকলেও প্রকাশ্যে এসেছে শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম। অন্য আসামিদের বাঁচানোর মিশনে নেমেছেন তিনি।

এ বিষয় শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম বলেন, আত্মীয় স্বজন অন্য দলের হতেই পারে। বড় বড় নেতাদের বেলায়ও এমন ঘটনা রয়েছে। এ কথা বলৈ মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।