নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল নগরীর দিয়ারা সেটেলমেন্ট অপারেশন কার্যালয়ের কর্মচারী জলিলের বিরুদ্ধে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার বিনিময়ে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিষয়টি নিয়ে সাক্ষাতে কথা হলে দিয়ারা সেটেলমেন্ট অপারেশন অফিসার নুসরাত জাহান বলেন, ‘কর্মচারী জলিলের বিরুদ্ধে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার বিনিময়ে ঘুষ আদায়ের ভিডিও ফুটেজ দেখেছি। জলিলকে চাকরি থেকে সাসপেন্ড করা হবে। বিষয়টি দ্রুত আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করবো। তাছাড়া আমার কার্যালয়ে সকল কর্মচারীদেরকে নিয়ে মিটিং ডেকে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছে, টাকার বিনিময়ে কাজ না করার ক্ষেত্রে।

বরিশাল নগরীর গোরস্থান রোডে অবস্থিত ওই দিয়ারা সেটেলমেন্ট অপারেশন কার্যালয়ের একাধিক কর্মচারী অভিযোগ করে বলেন, অফিস হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার বিনিময়ে আমাদের কাছ থেকে নিয়মিত ঘুষ আদায় করে কর্মচারী জলিল। বিষয়টি আমরা আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবহিত করেছি, তাতে কোনো কাজ হয়নি। কারণ, ঘুষের টাকা উত্তোলন করা হয় নাজির সিদ্দিকুর রহমানের শেল্টারে।

নাজির সিদ্দিকুর রহমান অফিস কর্মচারীদের পাশাপাশি এখানকার সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকেও মোটা অংকের টাকা হাতান বলে অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী বলেন, নাজির সিদ্দিকুর রহমানই এখানকার যত অপকর্মের হোতা। চাহিদা মতো ঘুষের টাকা না পেলে এখানকার সেবাগ্রহীতাদের মাস থেকে বছর অবধি হয়রানি করে থাকেন। নিম্ন শ্রেণির কর্মচারী হওয়ার কারণে আমরা নাজিরের অপকর্মের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছি না।

এদিকে সাক্ষাতে কথা হলে দিয়ারা সেটেলমেন্ট অপারেশন কার্যালয়ের অফিস সহকারী মোঃ জলিল বলেন, ‘আমাকে, খুশি হয়ে কিছু টাকা কর্মচারীরা দিয়ে যায়। আমি জোরপূর্বক কোনো টাকা আদায় করিনি।

আপনাকে কর্মচারীরা খুশি হয়ে টাকা দিলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ আসলো কেন? এমন প্রশ্ন করা হলে জলিল বলেন, ভাই আমি কান ধরছি। আর জীবনে কারও কাছ থেকে অবৈধ উপায়ে টাকা গ্রহণ করবো না।’