মো: আম্মার হোসেন আম্মান :: বরিশালে ক্লাসরুম ফাঁকা, আর পার্কগুলো ভর্তি! চোখে মোবাইল হাতে ফুচকা ঘুরে বেড়াচ্ছে শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা জানেন না, সন্তান কোথায় যাচ্ছে।

বরিশালের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা স্কুল ফাঁকি দিয়ে দল বেঁধে পার্ক, লেক ও রেস্টুরেন্ট এলাকায় ঘোরাফেরা করছে। সকাল ৯টা থেকে ১-২ দুপুর পর্যন্ত শহরের আমতলা লেক , শিশু পার্ক, বঙ্গবন্ধু উদ্যান, বেলস পার্ক, এবং কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে ৩০ গোডাউন আড্ডায় মেতে ওঠে স্কুল ড্রেস পরিহিত শিক্ষার্থীরা।
চোখে মোবাইল, হাতে ফুচকা — ক্লাস নয়, চলছে আড্ডা

বরিশালের ক্লাসরুম ফাঁকা, আর পার্কগুলো ভর্তি — কে নেবে এর দায়িত্ব?”
> প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ১-২ টা পর্যন্ত স্কুল ড্রেসে শিক্ষার্থীরা ঘোরে পার্কে, রেস্টুরেন্টে, নদীর পাড়ে।
কেউ বানাচ্ছে ভিডিও, কেউ সিগারেট হাতে — অথচ তখন তাদের থাকার কথা ছিল শ্রেণিকক্ষে।
আজ (মঙ্গলবার ২০ মে) সকাল ১০টায় দেখা যায়, বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বেলস পার্কে বসে টিকটক ভিডিও বানাচ্ছে। কারো হাতে চা, কারো হাতে সিগারেট। আশেপাশে কোনো শিক্ষক বা অভিভাবকের উপস্থিতি নেই।

শিক্ষকদের উদ্বেগ।
একজন স্কুল শিক্ষক জানান, “আমরা প্রায়ই দেখি অনুপস্থিতির সংখ্যা বাড়ছে। অনেক অভিভাবক ভাবেন সন্তান ক্লাসে আছে, কিন্তু বাস্তবে তারা বাইরে ঘুরছে।”
অভিভাবকদের কী করণীয়?
মতামত , শিক্ষার্থীদের গতিবিধির বিষয়ে অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে। সন্তানের স্কুলে যাওয়া, ফেরার সময়, বন্ধুদের পরিচয়—সবকিছু নিয়মিত জেনে নেওয়া প্রয়োজন।

সমাধান কী?
স্কুল প্রশাসনের আরও নজরদারি বাড়াতে হবে।
নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাসে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
পার্ক ও পাবলিক প্লেসে পুলিশি টহল বাড়াতে হবে।
সচেতনতা বৃদ্ধিতে অভিভাবকদের সভা আয়োজন করতে হবে।
> অভিভাবকরা জানেন না, সন্তান কোথায় যাচ্ছে।
শিক্ষকরা দুশ্চিন্তায়, সমাজ চিন্তিত।
এখনই যদি না থামানো যায়, ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
> বরিশাল শহরকে নিরাপদ রাখতে, অভিভাবক, শিক্ষক, প্রশাসন, সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।