
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ওবায়দুর রহমান তালুকদারের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রী অশোভন আচরণের অভিযোগ তুলেছেন। বুধবার বাংলা বিভাগের কয়েকজন ছাত্রী কলেজ অধ্যক্ষের কাছে লিখিতভাবে চারটি গুরুতর অভিযোগ জমা দেন।
ছাত্রীদের লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, অধ্যাপক ওবায়দুর রহমান তালুকদার—
১. শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন,
২. ধর্মীয় পোশাক ও বিশ্বাস নিয়ে বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করেন,
৩. বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের প্রতি হয়রানিমূলক আচরণ করেন এবং
৪. শ্রেণিকক্ষে অপ্রাসঙ্গিক ও বিব্রতকর আলোচনা করেন।
অভিযোগকারী ছাত্রীরা জানিয়েছেন, এ ধরনের ঘটনায় তারা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং শ্রেণিকক্ষে পড়াশোনার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে তারা অধ্যক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যাপক ওবায়দুর রহমান তালুকদার বলেন,
“৩১ বছরের শিক্ষকতা জীবনে এ ধরনের কোনো অভিযোগ কখনো পাইনি। এগুলো সম্পূর্ণ বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি ছাত্রীদের সন্তানের মতো দেখি।”
তিনি আরও দাবি করেন, বাংলা বিভাগের তিন অতিথি শিক্ষক—তানজিলা বেগম সকাল, মারিয়া বিনতে মাসুদ ও মাহাসেতা বসু—নিয়মিত ক্লাস না নেওয়ায় তিনি তাদের দায়িত্ব পালনের কথা বলেছিলেন। এ কারণেই তাদের প্ররোচনায় এমন অভিযোগ এসেছে বলে দাবি তার।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা মন্তব্য করেছেন সদ্য বিদায়ী অতিথি শিক্ষক তানজিলা বেগম সকাল। তিনি বলেন,
“আমি এ কলেজের সাবেক ছাত্রী ও সম্প্রতি বিদায়ী অতিথি শিক্ষক। অধ্যাপক ওবায়দুর রহমান একজন শিক্ষক জাতির কলঙ্ক। তিনি আমাদের সঙ্গে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলেছেন। সম্মান রক্ষার্থে আমরা চাকরি ছেড়েছি এবং বিষয়টি অধ্যক্ষকে জানিয়েছি।”
এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান বলেন,
“অভিযোগের সত্যতা যাচাই না করে মন্তব্য করা সঠিক নয়। সামনে ভর্তি কার্যক্রম ও চলমান পরীক্ষা রয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। ইতিমধ্যে বিভাগের অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা এ বিষয়ে কিছু জানেন না।”
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার কলেজের শৃঙ্খলা কমিটি ও উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে আলোচনার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


