
নিউজ ডেস্ক :: বহিরাগতদের হামলা ও আনসার সদস্যদের বাধায় জুলাই ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন পন্ড হয়ে গেছে। এ ঘটনায় দুই নারী নেত্রীসহ ৪ শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত হয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। রবিবার (১জুন) বিকেল ৫টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটেছে।
বাউফলের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ তুলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সাংবাদিক সম্মেলনের আহবান জানায় শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলন শুরুর কয়েক মিনিট আগে ইউএনওর কার্যালয়ের কর্মচারী শ্যামল চন্দ্র প্রধান গেটে তালা লাগিয়ে দেন। খোলা রাখেন পকেট গেট। সংবাদ সম্মেলন শুরুতেই কিছু দুর্বৃত্ত্ব ব্যানার ছিড়ে নিয়ে যায়। এসময় পরিবেশ কিছুটা উত্তেজিত হয়। পুনরায় সংবাদ সম্মেলন শুরু হলে দুর্বৃত্তরা এসে বাধা দেয়। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যর কাগজ নিয়ে যায়। এসময় হট্টগোল শুরু হলে ইউএনওর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কয়েকজন অস্ত্রধারী আনসারসহ গ্রাম পুলিশের ২০-২৫ জন সদস্য ঘটনাস্থলে আসেন। তারা শিক্ষার্থীদের গেটের বাইরে চলে যেতে বলেন। শিক্ষার্থীরা যেতে না চাইলে তাদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন আনসার সদস্যরা। হাতাহাতিও হয়েছে এসময়। এতে শিক্ষার্থী শাহনাজ, সাবেক ছাত্র সমন্বয়ক আয়শাতুন্নেছা বর্ষা, শুভ চন্দ্রশীল ও সিয়াম আহম্মেদকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ করেন তারা। সাংবাদিকদের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ জানতে বাধাও দেন আনসার সদস্যরা। এতে সংবাদ সম্মেলন পন্ড হয়ে যায়।
পরে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত বৈষম্যবিরোধীদের একটি পক্ষ আজকের সম্মেলন সম্পর্কে জানে না বলে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অভিযোগও করেন। তাদের দাবি তারা থাকলে এই হামলা করতে পারতো না দুর্বৃত্তরা।
এদিকে, লাঞ্ছিত হওয়া শিক্ষার্থীরা নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে যায়। শিক্ষার্থীরা ১ ঘন্টা বসে থেকে, এখনো জিডি করতে পারেননি শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে পুলিশ বলছে, ওসি থানায় নেই। তিনি এসে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলবেন।
এ বিষয়ে ইউএনওর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এবিষয়ে আমার কিছু জানা নাই। এরকম কিছু ঘটেও নাই। ওকে!