নিজস্ব প্রতিবেদক ::: পবিত্র ঈদ-উল আযহার টানা দশদিনের ছুটিতে প্রাণ ফিরে পেয়েছে বরিশালের সবকটি বিনোদন কেন্দ্র। পরিবার-পরিজন নিয়ে মানুষ ছুটেছেন এসব বিনোদন কেন্দ্রে। উপভোগ করেছেন ঈদের আনন্দ আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। দর্শনাথীদের পদচারণায় নগরীর প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্র উৎসব মুখর জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।

নগরীর ঐতিহ্যবাহী বেলস্ পার্ক, প্লাটেন পার্ক, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, স্বাধীনতা পার্ক, ত্রিশ গোডাউন, শহরের পাশে চরবাড়িয়া নদীর পাড়ের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচেপরা ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সারাবছরের কর্মব্যস্ততা শেষে এবারের কোরবানিতে টানা দশদিনের ছুটিকে ঘিরে আনন্দমুখর সময় কাটাতে পরিবার-পরিজন নিয়ে নগরবাসীসহ আশেপাশের জেলার মানুষও এসেছেন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। দর্শনার্থীদের মধ্যে শিশু-কিশোরদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। যাদের সাথে ছিলেন অভিভাবকরাও।

দর্শনার্থীরা জানিয়েছেন, কর্মব্যস্ত জীবনের বাহিরে এই সময়টুকুই তারা পরিবার পরিজন নিয়ে একত্রে কাটাতে পারেন। এই আনন্দ যেন তাদের সারাবছরের ক্লান্তি ভুলিয়ে দিচ্ছে। দর্শনার্থী তানভির আহম্মেদ অভি বলেন, সারাবছর কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকি। এই ছুটিতে পরিবার নিয়ে একটু সময় কাটাতে পেরে খুব ভালো লাগছে। অপর দর্শনার্থী নাসরিন বেগম বলেছেন, আমার বাচ্চারা অনেক খুশি। খেলাধুলা করছে, ঘুরছে। আমরা বড়রাও কিছুটা শান্তি পাচ্ছি।

শুধু নগরবাসী নয়; জেলার বিভিন্ন উপজেলা এমনকি আশেপাশের জেলা থেকেও ভ্রমন পিপাসু দর্শনার্থীরা এসেছেন বরিশালের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে। পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দঘণ মুহুর্ত কাটাতে পেরে তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, ঈদের ছুটিতে বিনোদন কেন্দ্রে দর্শনার্থীর ভিড় বেশি থাকায় নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

বরিশাল নগরীর বাহিরে জেলার বাবুগঞ্জের মাধবপাশা এলাকার দুর্গা সাগর, নয়নাভিরাম উজিরপুরের গুঠিয়ার বায়তুল আমান জামে মসজিদ কমপ্লেক্স, গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর এলাকার শাহী ৯৯ পার্ক ও কটকস্থল এলাকার ফারিহা গার্ডেনে দর্শনাথীদের উপচে পড়া ভিড় বেড়েছে।