নিউজ ডেস্ক :: অক্টোপাস একটি সামুদ্রিক প্রাণী। তার আটটি বাহু রয়েছে। দেখতে শামুকের মত হলেও তার শক্ত খোলস নেই। এরা মোলাস্কা ফাইলামের অন্তর্ভুক্ত। এদের মাথার ঠিক পিছনেই আটটি শুঁড়-পা আছে।
এজন্য এরা সেফালোপোডা বা ‘মস্তক-পদ’ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। স্কুইডও একই শ্রেণীর। এরা নিশাচর, ধীর গতিসম্পন্ন। প্রায় ১৫০ প্রজাতির ছোটবড় বিভিন্ন আকারের অক্টোপাস রয়েছে। এগুলো মাছ নয়, প্রাণীর অন্তর্ভূক্ত।
সামুদ্র বা নদীর শুধু মাছ খাওয়া জায়েজ। অন্য কোনো প্রাণী খাওয়া জায়েজ নেই। সাগর বিশেষজ্ঞগণ সমুদ্র ও নদীতে যেসব প্রাণীকে মাছ বলেছেন, শুধু তাই ভক্ষণ করা যাবে। এছাড়া অন্য প্রাণী খাওয়া বৈধ নয়।
কাঁকড়া খাওয়া কি হারাম
সেই হিসেবে কাঁকড়া, অক্টোপাস, স্কুইড এসব মাছ নয় তাই খাওয়া জায়েজ নেই। তবে যেহেতু চিংড়ি মাছ, তাই তা ভক্ষণ করা যাবে।
মাছ ছাড়া অন্য কোনো জলজ প্রাণী খাওয়া জায়েজ নেই। আর অক্টোপাস, স্কুইড সামুদ্রিক বিশেষ প্রাণী, শামুক, ঝিনুক, কাঁকড়া ইত্যাদি জলজ প্রাণীর অন্তর্ভূক্ত। এগুলো মাছ নয়, তাই এগুলো খাওয়াও নাজায়েজ। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/১১৪, আল-বাহরুর রায়েক ৮/৪৮৫, হাশিয়ায়ে তাহতাবি ৪/৩৬০, ইমদাদুল ফাতাওয়া ৪/১১৮)
এগুলো কোরআনে বর্ণিত ‘খাবায়েস’ (নোংরাবস্তু) এর অন্তর্ভুক্ত। সুরা আল আরাফ আল্লাহ তাআলা এগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। ‘খাবায়েস’ বলা হয়, যা মানুষ স্বভাবগত ঘৃণা করে। (সুরা: আরাফ আয়াত ১৫৭)
ঝিনুক খাওয়া কি হালাল
শামুক, ঝিনুক, কাঁকড়া ইত্যাদি জলজ প্রাণীর অন্তর্ভূক্ত। এগুলো মাছ নয়, তাই এগুলো খাওয়াও নাজায়েজ। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/১১৪, ইমদাদুল ফাতাওয়া ৪/১১৮)
আর মাছ ছাড়া অন্যান্য জলজ প্রাণী রুচিশীল মানুষ স্বভাবতই ঘৃণা করে। সুতরাং সেগুলোও কোরআনের হুকুম অনুযায়ী নিষিদ্ধ। তাছাড়া মানুষের ক্ষতি হয় এমন জিনিস তো ইসলাম কখনোই সমর্থন করে না। স্বাস্থ্য গবেষকদের মতে অক্টোপাস খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে। নারীদের গর্ভধারণ হুমকির মুখে পড়তে পারে।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. বলেন, ‘তোমাদের জন্য দুই প্রকারের মৃত জীব ও দুই ধরনের রক্ত হালাল করা হয়েছে। মৃত জীব দুইটি হলো মাছ ও ফড়িং। এ দুই ধরনের রক্ত হলো কলিজা ও প্লীহা। (ইবনে মাজাহ, হাদিস ৩৩১৫, মুসনাদ আহ ৪৬৮৭, শারহুস সুন্নাহ ২৮০৩)